পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদি দেড়হাজার টাকার হাণ্ডনোটি কেটে এক হাজার নেয়। আমার তাতে দোষ কি ? এই-সব চরিয়েই তো আমাদের খেতে হবে ! কত রাত এমন আসে দ্ব্যাখ না, টাকার যা বাজার কলকাতায়, কে দেবে ? প্রণব খুব আশ্চর্ষ হইল না । ইহাদের কার্যকলাপ সে কিছু কিছু জানে, এক অপ্রকৃতিস্থ মাতাল যুবকদের নিকট হইতে ইহার এক রাত্রিতে হাজার টাকা অসৎ উপায়ে উপার্জন করিয়াও বড় গলায় সেইটাই আবার বাহাদুরি করিয়া জাহির করিতেছে। হতভাগ্য যুবকটির জন্য প্রণবের কষ্ট হইল-মত্ত অবস্থায় সে যে কি সই করিল, কত টাকা তাহার বদলে পাইল, হয়ত বা তাহা সে বুঝিতেও পারিল না । কলিকাতা হইতে সে মামার বাড়ি আসিল । মাতৃসমা বড় মামীম আর ইহজগতে নাই। গত বৎসর পূজার সময় তিনি-প্রণব তখন জেলে । সেখানেই সে সংবাদটা পায়। গঙ্গানন্দকাটির ঘাটে নৌকা ভিডিতে তাহার চোখ ছলছল করিয়া উঠিল। কাল ট্রেনে সারা রােত ঘুম হয় নাই আদৌ । তাড়াতাডি সুন্নানাহার সারিয়া দোতলার কোণের ঘরে বিশ্রামেব জন্য যাহঁয়া দেখিল, বিছানার উপর একটি পাঁচ বৎসরের ছেলে চুপ করিয়া শুইয়া। দেখিয়া মনে হইল, একরাশ বাসি গোলাপফুল কে ৰেন বিছানার উপর উপুড় করিয়া ঢালিয়া রাখিয়াছে,-হঁ্যা, সে যাহা ভাবিয়াছে তাই--জরে ছেলেটির গা যেন পুড়িয়া যাইতেছে, মুখ জ্বরের ধমকে লাল, ঠোঁট কঁাপিতেছে, কেমন যেন দিশেহারা ভাব। মাথার দিকে একখানা রেকাবিতে দুখানা আধা-খাওয়া ময়দার রুটি ও খানিকটা চিনি। প্রণব জিজ্ঞাসা করিল-তুমি কাজল না ? খোকা যেন হঠাৎ চমক ভাঙিয়া কতকটা ভয় ও কতকটা বিস্ময়ের দৃষ্টিতে bांश्।ि लूश्लि, 6तानG कथां बलिल मां । প্রণবের মনে বড় কষ্ট হইল-ইহাকে ইহার এ ভাবে একা উপরের ঘরে ফেলিয়া রাখিয়াছে। অসহায় বালক একলাটি শুইয়া মুখ বুজিয়া জরের সঙ্গে যুঝিতেছে, পথ্য দিয়াছে কি-না, দুখানা ময়দার হাতে-গন্ডা রুটি ও খানিকট। লাল চিনি। আর কিছু জোটে নাই। ইহাদের ? জরের ঘোরে তাহাই বালক যাহা পারিয়াছে খাইয়াছে। প্রণব জিজ্ঞাসা করিল-খোকা রুটি কেন, সাবু দেয় নি তোমায় ? খোকা বলিল-ছাবু নেই। --নেই কে বলল ? --ম-মামীম বললে ছাবু নেই। সে জরে হাপাইতেছে দেখিয়া প্রণব ঠাণ্ডা জল আনিয়া তাহার মাথাটা 設b^き。