পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিগারেট ধরাইল। তাহার মনে আনন্দের সঙ্গে কেমন একটা উত্তেজনা • • • মনে মনে খুব একটা তৃপ্তিও অনুভব করিল। --জীবন এখন সুনিনিষ্ট পথে চলিবে-লক্ষ্মীছাড়ার জীবন শেষ হইল। পাটনার চাকুরিতে একটা সুবিধা এই যে, জায়গা খুব স্বাস্থ্যকর, বাড়িভাড়া সস্তা, বছরে পঞ্চাশ টাকা করিয়া মাহিনী বাড়িবে—তবে প্রভিডেন্ট ফণ্ডের সুদ কিছু কম। সে ভাবিল-যাই তো আগে, ফৈজুদ্দীন হোসেনকে একটু হাতে রাখতে হবে, ওর হাতেই সবঅন্য সব ডিরেক্টার তো কাঠের পুতুল। ক্যান্টনমেন্টের ক্লাবে গিয়েই ভতি হয়ে যাবে।-ওরা আবার ওসব দেখলে ভেজে কিনা ৷ নববধূ এখনও ঘুমায় নাই, দেবব্রত গিয়া বলিল-বাইরে এসে না। সুনীতি, কেউ নেই । আসবে ? নববধূ চেলীর পুটুলী নয়, কিন্তু পায়ের জন্য তার উঠতে কষ্ট হয়দেবব্রত তাহাকে সযত্বে ধরিয়া দালানে আনিয়া তোরঙ্গটার ওপব ধীরে ধীরে বসাইয়া দিল। নববধূ হাসিয়া বলিল-ওই দোরটা বন্ধ ক'রে দাও-সিড়ির ওইটে-শেকৃলি উঠিয়ে দাও-হ্যা-ঠিক হয়েছে-নৈলে এক্ষুণি কেউ এসে পড়বে | দেবব্রত পাশে বসিয়া বলিল-রাতজেগে কষ্ট হচ্ছে খুব-না ? —কি এমন কষ্ট, তা ছাড়া দুপুরবেলা আমি ঘুমিয়েছি। খুব। -আচ্ছা, তুমি কনে-চন্দন পরে নি কেন সুনীতি ? এখানে সে চলন নেই ? মেয়েট সলজ্যুমুখে বলিল-মা পরাতে বলেছিলেন 一寸a? —জ্যাঠাইমা বললেন, তুমি নাকি পছন্দ করবে না। দেবব্রত হাসিয়া উঠিয়া বলিল -কেন বল তো-বিলেত-ফেরত বলে ? 卒|○○iー পরে সে বলিল-আমি সাত তারিখে পাটনায় যাব, বুঝলে, তোমাকে আর মাকে এসে নিয়ে যাব মাস-দুই পরে, সুনীতি। তোমার বাবাকে বলে রেখেছি। মেয়েটি নতমুখে বলিল-আচ্ছ একটা কথা বলব ? কিছু মনে করবে না ?-- --বল না, কি মনে করব ?-- -আচ্ছা, আমার এই পা নিয়ে তুমি যে বিয়ে করলে, যদি আমার পা না সারে ? দ্যাখ, তোমার গা ছয়ে সত্যি বলচি আমার ইচ্ছে ছিল না বিয়ের। মাকে কতবার বুঝিয়ে বলেছি, মা এই তো আমার পায়ের দশা, পরের ওপর অনর্থক কেন বোঝা চাপানো সারাজীবন-তা মা বললেন তুমি নাকি খুব—