পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৫৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলে আছে । সে ভাবিল, চাকরি না হয়, বইখানা বাহির করিয়া দেখিবে চলে। কিনা ৷ মাসিক পত্রিকায় দু-একটা গল্পও দিল, একটা গল্পের বেশ নাম হইল, কিন্তু টাকা কেহ দিল না । হঠাৎ তাহার মনে হইল-অপর্ণার গহনাগুলি শ্বশুর-বাড়িতে আছে, সেগুলি সেখান হইতে এই সাত-আট বৎসর সে আনে নাই। সেগুলি বেচিয়া তো বই বাহির করার খরচ যোগান্ড হইতে পারে । এই সহজ উপায়টা কেন এতদিন মাথায় আসে নাই ? সে লীলার কাছে আরও কয়েকবার গেল, কিন্তু কথাটা প্রকাশ করিল না। উপন্যাসের খাতাখানা লইয়া গিয়া পড়িয়া শোনাইল। লীলা খুব উৎসাহ দেয়। একদিন লীলা হিসাব করিতে বসিল বই ছাপাইতে কত লাগিবে। অপু ভাবিল-অন্য কেউ যদি দিত হয়ত নিতুম, কিন্তু লীলা বেচারীর টাকা নেব না। একদিন সে হঠাৎ খবরের কাগজে তাহার সেই কবিরাজ বন্ধুটির ঔষধের দোকানের বিজ্ঞাপন দেখিতে পাইল । সেইদিনই সন্ধ্যার পর সে ঠিকানা খুজিয়া সেখানে গেল, সুকিয়া ষ্ট্রিটের একটা গলিতে দোকান। বন্ধুটি বাহিরেই বসিয়া ছিল, দেখিয়া বলিয়া উঠিল—বা —তুমি ! তুমি বেঁচে আছ দাদা ? অপু হাসিয়া বলিল-উঃ, কম খুঁজি নি তোমায়! ভাগ্যিস আজ তোমার শিল্পাস্রোমের বিজ্ঞাপনটা চোখে পড়ল, তাই তো এলুম! তারপর কি খবর বল ? দোকানের আসবাবপত্র দেখে মনে হচ্ছে, অবস্থা ফিরিয়ে ফেলেছে ! বন্ধু খানিকটা চুপ করিয়া রহিল। খানিকটা এ-গল্প ও-গল্প করিল। পরে বলিল - এসো, বাসায় এসে । ছোট সাদা রঙের দোতলা বাড়ি, নীচের উঠানে একটা টিনের শেডের তলায় আট-দশটি-লোক কি সব জিনিস। পাকৃ করিতেছে, লেবেল আঁটিতেছে, অন্যদিকে একটা কল ও চৌবাচ্চা, আর একটা টিনের শেডে গুদাম। উপরে উঠিয়াই একটা মাঝারি। হলঘর, দু’পাশে দুটা ছোট-ছোট ঘর, বেশ সাজানো। একটা সেঠ টমাসের বড় ক্লক ঘড়ি দালানে টক্‌টকৃ করিতেছে। বন্ধু ডাকিয়া বলিল-ওরে বিন্দু, শোন, তোর মাকে বল, এক্ষুণি দু’পেয়ালা চা দিতে। অপু উৎসুকভাবে বলিল-তার আগে একবার বৌঠাকরুণের সঙ্গে দেখাটা कब्रि-विन्यूक दल ऊँकि कि qकबांद्र थांनोड बनाऊ? ना कि, ७थन অবস্থা ফিরেছে বলে তিনি আর আমার সঙ্গে দেখা করবেন না ? কবিরাজ বন্ধু মানমুখে চুপ করিয়া রহিলা-পরে নিম্নস্বরে অনেকটা যেন আপন মনেই বলিল-সে আর তোমার সঙ্গে দেখা করবে না ভাই । তাকে আর কোথায় পাবে ? রমলা আর সে দুজনেই ফাকি দিয়েছে। Aes