পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দোকান-পান ও মদ এক সঙ্গে বিক্রয় হয়। প্রায় সর্বত্র। সোডা লেমনেড সে কখনো দেখে নাই। ইহার আগে, জানিত না-কি করিয়া সে ধরিয়া লইয়াছে বোতলে ওগুলো মদ। তাই তো সেদিন বাবাকে খাইতে দেখিয়া অবাকৃ হইয়া গিয়াছিল—এত দিন লজ্জায় বলে নাই। সেই দিনই অপু তাহাকে “লেমনেড়, খাওয়াইয় তাহার। ভ্রম ঘুচাইয়া দিল। এই অবস্থায় একদিন সে বিমলেন্দুর পত্র পাইল, একবার আলিপুরে লীলার ওখানে পত্রপাঠ আসিতে । লীলার ব্যাপার সুবিধা নয়। তাহারও আর্থিক অবস্থা বড় শোচনীয়। নিজের যাহা কিছু ছিল গিয়াছে, আর কেহ দেয়ও না, বাপের বাডিতে তাহার নাম করিবার পর্যন্ত উপায় নাই । ইদানিং তাহার মা কাশী হইতে তাহাকে টাকা পাঠাইতেন। বিমলেন্দু নিজের খরচ হইতে বঁাচাইয়া কিছু টাকা দিদির হাতে দিয়া যাইত। তাহার উপর মুস্কিল এই যে, লীলা বডমানুষের মেয়ে, কষ্ট করা অভ্যাস নাই, হাত ছোট করিতে জানে না । এই রকম কিছুদিন গেল। লীলা যেন দিন দিন কেমন হইয়া যাইতেছিল। অমন হাস্যময়ী লীলা, তাহার মুখে হাসি নাই, মনমরা বিষন্ন ভাব। শরীরও যেন দিন দিন শুকাইয়া যাইতে থাকে । গত বর্ষাকাল এই ভাবেই কাটে, বিমলেন্দু পূজার সময় পীড়াপীড়ি করিয়া ডাক্তার দেখায়। ডাক্তার বলেন, খাইসিসের সূত্রপাত হইয়াছে, সতর্ক হওয়া দরকার । বিমলেন্দু লিখিয়াছে-লীলার খুব জর। ভুল বকিতেছে, কেহই নাই, সে একা ও একটি চাকর সারারাত জাগিয়াছে, আত্মীয়স্বজন কেহ ডাকিলে আসিবে না, কি করা যায়। এ অবস্থায় অপু এখানে আজকাল তত আসিতে পারে না, অনেকদিন লীলাকে দেখে নাই। লীলার মুখ যেন রাঙা, অস্বাভাবিকভাবে রাঙা ও উজ্জল দেখাইতেছে। বিমলেন্দু শুল্কমুখে বলিল-কাল রঘুয়ার মুখে খবর পেয়ে এসে দেখি এই অবস্থা। এখন কি করি বলুন তো ? বাড়ির কেউ আসবে না, আমি কাউকে বলতেও যাব না, মাকে একখানা টেলিগ্রাম করে দেব ? অপু বলিল—ম যদি না আসেন ? --কি বলেন ? এক্ষুণি ছুটে আসবেন-দিদি-অন্ত প্রাণ তঁার। তিনি যে আজি চার বছর কলকাতামুখে হন নি, সে এই দিদির কাণ্ডই তো। মুস্কিল হয়েছে কি জানেন, কাল রাত্রেও বকেছে, শুধু খুকী, খুকী, অথচ তাকে यांनांनी ख्नछत्र ! অপু বলিল,--আর এক কাজ করতে হবে, একজন নার্স আমি নিয়ে আসি ঠিক করে। মেয়ে মানুষের নাসিং পুরুষকে দিয়ে হয় না। বসে তোমরা। \6 .