পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওকে দিতে কাজলের মাছ প্রায় সব ফুরাইয়া যায়। বঁড়িয্যেদের ছেলে অনু একটা বিড়ালছানাকে রাস্তার উপর দিয়া ইঞ্জিন যায়, ওরই তলায় ফেলিয়া দিয়াছিল-ভাগ্যে সেটা মরে নাই।--যে ইঞ্জিন চালায়, সে তৎক্ষণাৎ থামাইয়া ফেলে ! কাজল আজকাল একটা কেরোসিন কাঠের বাক্সে বিড়ালগুলির থাকিবার জায়গা করিয়া দিয়াছে । রাত্রে শুইয়াই কাজল অমনি বলে,-গল্প বল বাবা । আচ্ছা বাবা, ওই ষে রাস্তায় ইঞ্জিন চালায় যারা, ওরা কি যখন হয়। থামাতে পারে, যেদিকে ইচ্ছে চালাতে পারে ? সে মাঝে মাঝে গলির মুখে দাড়াইয়া বড় রাস্তায় স্ট্রম রোলার চালাইতে দেখিয়াছে । যে লোকটা চালায় তাহার উপব কাজলের মনে মনে তিৎসা হয়। কি মজা ওই কাজ করা। যখন খুশি চালানো, যতদূর হয়, যখন খুশি থামানো । মাঝে মাঝে সিটি দেয়, একটা চাকা বসিয়া বসিয়া ঘোরায়। সাল চপ কবিয়া আছে, সামনে একটা ডাণ্ড যেই টেপে আমনি ঘটাং ঘটাং বিকট শব্দ । এই সময়ে অপুর হঠাৎ অসুখ হইল। সকালে অন্য দিনের মত আর বিছানা ঠাইতে উঠিতেই পারিল না-বাবা সকালে উঠিয়া মাদুর পাতিয়া বসিয়া তামাক খায়, কাজলের মনে হয় সব ঠিক আছে--কিন্তু আজ বোলা দশটা BDmBuBS DBB gtOOOD BBYiTDBB DBDB BD DBBDD DDS DDD DDYS সব কি যেন হইয়া গিয়াছে। সেই রোদ উঠিয়াছে, কিন্তু রোদের চেহারা অন্য বকম, গলিটার চেহারা অন্য রকম, কিছু ভাল লাগে না, বাবার অসুখ এই প্রথম, বাবাকে আর কখনো সে অসুস্থ দেখে নাই-কাজলের ক্ষুদ্র জগতে সব BDB BDuDuYKDD DBBDB SLYD SS DBBB D BBDDS BBDD BDDD DDS সংজ্ঞা নাই--জ্বরে অজ্ঞান হইয়া পডিয়া । কাজল পাউরুটি কিনিয়া আনিয়া থাইল । সন্ধ্যা কাটিয়া গেল। কাজল পরমানন্দ পানওয়ালার দোকান হইতে তেল পুরিয়া আনিয়া লণ্ঠন জালিল। বাবা তখনও সেই রকমই শুইয়া। কাজল অস্থির হইয়া উঠিল--তাহার কোনও অভিজ্ঞতা নাই এ সব বিষয়ে, কি এখন সে করে ? দু-একবার বাবার কাছে গিয়া ডাকিল, জ্বরের ঘোরে বাবা একবার বলিয়া উঠিল-স্টোভটা নিয়ে আয়, ধরাই খোকা-স্টোভটা অর্থাৎ সে স্টোভটা ধরাইয়া কাজলকে রাধিয়া দিবে। কাজল ভাবিল, বাবাও তো সারাদিন কিছু খায় নাই-স্টোন্ড ধরাইয়া বাবাকে সাবু তৈরী করিয়া দিবে। কিন্তু স্টোভ সে ধরাইতে জানে না, কি করে এখন ? স্টোভটা ঘরের মেঝেতে লইয়া দেখিল তেল নাই। আবার পরমানদের দোকানো গেল। পরমানন্দকে সব কথা খুলিয়া বলিল। পাশেই \OO*)