পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একজন নতুন-পাশকরা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের ডিস্পেন্সারী। ডাক্তারটি একেবারে নতুন, এক ডাক্তারখানায় বসিয়া কড়ি-বরগা, গুনিতেছিলেন, তিনি তাহাঁদের সঙ্গে বাসায় আসিলেন, অপুকে ডাকিয় তাহার হাত ও বুক দেখিলেন, কাজলকে ঔষধ লইবার জন্য ডাক্তারখানায় আসিতে বলিলেন। অপু তখন একটু ভাল-সে ব্যস্তসমস্ত হইয়া ক্ষীণাসুরে বলিল-ও পারবে না, রাত্তিরে এখন থাকৃ, ছেলেমানুষ, এখন থাকৃ—— এই সবের জন্য বাবার উপরে বাগ অ্যয় কাজলেব ! কোথায় সে ছেলেমানুষ, সে বড় হইয়াছে । কোথায় সে না। যাইতে পারে, বাবা পাঠাইয়া দেখুক দিকি সে কেমন পারে না ? বিশেষত: অপরের সামনে তাহাকে কচি বলিলে, ছেলেমানুyয বলিলে, আদব করিলে বাবার উপর তাতার ভারী রাগ হয় । বাবার সামনে স্টোভ ধারাইতে গেলে কাজল জানে বাবা বারণ করিবে, বলিবে-উহু করিস নে খোকা, হাত পুডিয়ে ফেলবি । সে সরু বারান্দাটার এক কোণে সেটাভটা লইয়া গিয়া কয়েকবার চেষ্টা করিয়াও সেটা জালিতে পারিল না । অপু একবার বলিল--কি কচ্চিস ও খোকা, কোথায় গেলি ও খোকা ?--আঃ, বাবার জ্বালায় অস্থির । -ঘবে আসিয়া বলিল-বাবা! কি থাবে ? মিছরি আর বিস্কুট কিনে আনবো ? অপু বলিল-না না, সে তুই পারবি নে। আমি খাবো না কিছু। লক্ষ্মী বাবা, কোথাও যেও না ঘর ছেড়ে, রাত্তিরে কি কোথাও যায় ? হারিয়ে যাবি হ্যা, সে তারাইয়া যাইবে । ছাড়িয়া দিলে সে সব জায়গায় যাইতে পারে, পৃথিবীর সর্বত্র এক যাইতে পারে, বাবার কথা শুনিলে তাহার হাসি পায়। পরদিন সকালে উঠিয়া কাজল প্রথমে ঔষধ আনিল। বাবার জন্য ফুটপাতের দোকান হইতে খেজুর ও কমলালেবু কিনিল। একটু দূরের দুধের দোকান হইতে জ্বাল-দেওয়া গরম দুধও কিনিয়া আনিল । দুধেব বাটি হাতে ছেলে ফিরিলে অপু বলিল-কথা শুনিবি নে খোকা ? দুধ আনতে গেলি রাস্তা পার হয়ে সেই আমহাস্ট স্বীটের দোকানে ? এখন গাড়ি ঘোড়ার বড় ভিড়যেও না বাবা-দে বাকী পয়সা ! খুচরা পয়সা না থাকায় ছেলেকে সকালে ঔষধের দামের জন্য একটা টাকা দিয়াছিল, কাজল টাকাটা ভাঙাইয়া এগুলি কিনিয়াছে, নিজে মাত্র এক পয়সার বেগুনি খাইয়াছিল, (তেলে-ভাজ খাবারের উপর তাহার বেজায় লোভ) বাকী পয়সা বাবার হাতে ফেরত দিল । অপু বলিল-একথান পাউরুটি- নিয়ে আয়, ওই দুধের আমি অতটা তো খাবো না, তুই অর্ধেকটা রুটি দিয়ে খ webr