পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--না। বাবা, এই তো কাছেই হোটেল, আমি ওখানে গিয়ে--না, না, সেও তো রাস্তা পার হয়ে, আফিসের সময় এখন মোটরের ভিড, এ-বেলা ওই খাও বাবা, আমি তোমাকে ওবেলা দুটো রোধে দেবো । কিন্তু দুপুরের পর অপুর আবার খুব জর আসিল। রাত্রের দিকে এত বাডিল, আর কোনও সংজ্ঞা রহিল না। কাজল দোরে চাবি দিয়া ছুটিয়া আবাব ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তাব আবাব আসিলেন, মাথায় জলপটির ব্যবস্থা দিলেন, ঔষধও দিলেন । জিজ্ঞোসা কবিলেন-—এখানে আর কেউ থাকে। না ? তোমাবা দুজন মোট ? অসুখ যদি বাডে তবে বাড়িতে টেলিগ্রাম ক’রে দিতে হলে । দেশে কে আছে ? --দেশে কেউ নেই। আমার মা তো নেই, “আমি আর বাবা শুধু —মুশকিল। তুমি ছেলেমানুষ কি করবে ? হাসপাতালে দিতে হবে তা হলে, দেখি আজ রাতটা কাজলেব প্রাণ উডিয়া গেল । হাসপাতাল । সে শুনিয়াছে সেখানে ^গলে মানুষ অ্যাব ফেরে না । বাবাব অসুখ কি এত বেশী যে, হাসপাতালে পাঠাইতে হইবে ? ডাক্তার চলিয়া গেল । বাবা শুইয়া আছে--শিয়রের কাছে আধভাঙ্গা ডালিম, গোটাকতক লেবুর কোয়া। পালং শাকের গোড়া বাবা খাইতে ভালবাসে, বাজার হইতে সেদিন পালং শাকের গোড়া আনিয়াছিল, ঘরের কোণে চুপডিতে শুকাইতেছে-বাবা যদি আর না ওঠে। না রাধে ? DBBDBDB BD BBB BBB BDBDBD CDD DDD SS SBD DDBS DD আসিল-ছোট বারান্দাটাব এক কোণে গিয়া সে আকুল হইয়া নিঃশব্দে কঁাদিতে লাগিল । ভগবান বাবাকে সারাইয়া তোল, পালং শাকের গোড়া বাবাকে খাইতে না দেখিলে সে বুক ফাটিয়া মরিয়া যাইবে-ভগবান বাবাকে ভাল করিয়া দাও । মেঝেতে তাহার পরিবার মাদুরটা পাতিয়া সে শুইয়া পডিল। ঘরে লণ্ঠনটা জালিয়া রাখিল—একবার নাডিয়া দেখিল কতটা তেল আছে, সারারাত জ্বলিবে কি না । অন্ধকারে তাহার বড় ভয়-বিশেষ বাবা আজ নড়ে না, চডে में, कथi& द ब्ल नi ! দেয়ালে কিসের সব যেন ছায়া! কাজল চক্ষু বুজিল। মাসদেড় হইল অপু সারিয়া উঠিয়াছে। হাসপাতালে যাইতে হয় নাই, এই গলিরই মধ্যে বঁাড়িয্যের বেশ সঙ্গতিপন্ন গৃহস্থ, তাহদের এক ছেলে ভাল ነö\9ድል