পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--তাহার বাবা এইভাবেই,ঠিক এই কথা বলিয়াই খবরের কাগজের মোড়ক৮৮৷৷ তাহার হাতে দিয়াছিল ! জীবনের চক্র ঘুরিয়া ঘুরিয়া কি অদ্ভুতভাবেই আব্বতিত হইতেছে, চিরযুগ ধরিয়া ! কাজল ছুটিয়া গিয়া বলিল,-কি বাবা দেখি ?-পরে বাবার হাত হইতে জিনিষটা লইয়া দেখিয়া বিস্মিত ও পুলকিত হইয়। উঠিল । অজস্র ছবিওয়ালা আরব্য উপন্যাস ! দাদামশায়ের বইয়ে তো এত রঙীন ছবি ছিল না ? নাকের কাছে ধরিয়া দেখিল কিন্তু তেমন পুরানো গন্ধ নাই, সেই এক অভাব । অনেক দিন পরে হাতে পয়সা হওয়াতে সে নিজের জন্যও একরাশ বই ও शे८:औी शांत्रांख्रिश्न किनिशा ख्भांनिशांदृष्छ् । পবদিন সে বৈকালে তাহার এক সাহেব বন্ধুর নিকট হইতে একখানা চিঠি পাইয়া গ্রেট ইস্টার্ণ হোটেলে তাহার সঙ্গে দেখা করতে গেল । সাহেবের বাডি কানাড়ায়, চল্লিশ-বিয়াল্লিশ বয়স নাম এ্যাশ বাটন । হিমালয়ের জঙ্গলে গাছপালা খুজিতে আসিয়াছে, ছবিও আঁকে। ভারতবর্ষে এই দুইবার আসিল ! স্টেটসম্যানে তাহার লেখা হিমালয়ের উচ্ছসিত বর্ণনা পডিয়া অপু হোটেলে গিয়া মাস-দুই পর্বে লোকটির সঙ্গে আলাপ করে। এই দু-মাসের মধ্যে দু-জনেব বন্ধুত্ব খুব জমিযী উঠিয়াছে। সাহেব তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছিল। ফ্ল্যানেলের চিলা সুট পরা, মুখে পাইপ, খুব দীর্ঘাকার, সুশ্রী মুখ, নীল চোখ, কপালের উপরের দিকের চুল খানিকটা উঠিয়া গিয়াছে। অপুকে দেখিয়া হাসিমুখে আগাইয়া আসিল, বলিল-দেখ, কাল একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটেছিল। ও-রকম কোনদিন হয় নি। কাল একজন বন্ধুব সঙ্গে মোটরে কলকাতার বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলুম। একটা জায়গায় গিয়ে বসেছি, কাছে একটা পুকুর, ও-পারে। একটা মন্দির, এক সার বঁাশগাছ, আর তালগাছ, এমন সময়ে চাদ উঠল, আলো আর ছায়ার কি খেলা । দেখে আর চোখ ফেরাতে পারিনে ! মনে হল, Ah this the East 1' the eternal East, win Cleft f <seas wistfit fact, -And pray, who is the Sun p... এ্যাশবাৰ্টন হো-হে কবিয়া হাসিয়া বলিল,-না, শোন, আমি কাশী যাচ্ছি, তোমাকে না নিয়ে আমি যাব না। কিন্তু । আসছে হপ্তাতেই যাওয়া যাকৃ চলো। কাশী । সেখানে সে কেমন করিয়া যাইবে। কাশীর মাটিতে সে পা দিতে পরিবে না। শত-সহস্ৰ স্মৃতি-জড়ানো কাশী, জীবনের ভাণ্ডারের অক্ষয় সঞ্জয় -ও কি যখন তখন গিয়া নষ্ট করা যায় • • •সেবার পশ্চিম যাইবার সময় মোগলসরাই দিয়া গেল, কাশী যাইবার অন্ত ইচ্ছা সত্বেও যাইতে পারিল না। G8I