পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গে সঙ্গে হরিহর বাড়ীর ভিতর ঢুকিয়া বলিল-হুয়, তখনই আমি বল্লাম এ কিছুই নয়। গাঙ্গুলী মশায়ের জামাই সত্যবাবু কলকাতা থেকে এসেছেনতিনি দেখে বল্লেন, এ একরকম বেলোয়ারী কাচ-ঝাড-লণ্ঠনে ঝুলোনো থাকে। রাস্তাঘাটে যদি হীরে-জহরৎ পাওয়া যেত, তা হোলে-“তুমিও যেমন ! পথের পাচালী দ্বাদশ পরিচ্ছেদ বৈশাখমাসের দিন । প্রায় দুপুর বেলা । স1জয়৷ বাটনা বাটিতে বাটিতে ডান হাতেব কাছে রক্ষিত একটা ফুলের সাজিতে ( অনেকদিন হইতে ফুলের সহিত ইহার কোনো সম্পর্ক নাই, মশলা বাখিবার পাত্র হিসাপে ব্যবহৃত হয় ) মশলা খুজিতে গিয়া বলিল—আবার জিরে-মবিচোব পুটুলিটা কোথায় নিয়ে পালালি ? বন্ড জ্বালাতন কচ্চিস অপু-পাধিতে দিবিনে তারপর একটু পরেই বোলো এখন—ম ক্ষিদে |.*|!.*|८४ ! অপুব দেখা নাই । —দিয়ে যা বাপ অমাব, লক্ষ্মী আমার-কেন জ্বালাতন কচ্চিস বল। দিকি ? দেখচিস বেলা হয়ে যাচ্ছে ? অপু রান্নাঘরের ভিতর হইতে দুয়ারের পাশ দিয়া ঈষৎ উকি মারিল ; মায়েল চোখ সেদিকে পন্ডিতেই তাহার দুষ্টুমিব হাসিভার টুকটুকে মুখখানা শামুকের খোলার মধ্যে ঢুকিয়া পডিবার মত তৎক্ষণাৎ আবার দুয়ারের আড়ালে অদৃশ্য হইয়া গেল। সৰ্প জয়া বলিল-দ্যাখা দিকি কাণ্ড-কেন বাপু দিক কারিস। দুপুর বেলা ? দিয়ে যা অপু পুনরায় হাসিমুখে ঈষৎ উকি মারিল। -ওই আমি দেখতে পেয়েছি।--আর লুকুতে হবে না, দিয়ে যাসৰ্বজয়া ছেলেকে ভালরূপেই চিনিত । যখন অপু ছোট্ট-খোকা দেড়বছরেরটি তখন দেখিতে সে এখনকার চেয়েও টুকটুকে ফরসা ছিল। সর্বজয়ার মনে আছে, সে তাহার ডাগর চোখ-দুটিতে বেশ করিয়া কাজল পরাইয়া কপালের মাঝখানে একটা টিপ পরাইয়া দিত ও তাহার মাথায় একটা নাল রংএর কম দামের ঘূণ্টওয়ালা পশমের টুপি পরাইয়া, কোলে করিয়া সন্ধ্যার পূর্বে বাহিরের রকে দাড়াইয়া ঘুম পাডাইবার উদ্দেশ্যে সুর টানিয়া টানিয়া वलिङ awab