পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৭৭

ऊअ& ट्रंभ cल स्त्रांप्छ । সন্ধ্যার অন্ধকারে গ্যাস জলিয়া উঠার সঙ্গে সঙ্গে যুবকের ছবি মিলাইয়া গেল ! • • • বাসার নির্জন ছাদে একা আসিয়া বসিল। মনে কি অদ্ভুত ভাব -কি অদ্ভুত অচ্চভূতি!-নবমীর জ্যোৎস্না উঠিয়াছে-কেমন সব কথা মনে উঠেবিচিত্র সব কথা-বসিয়া বসিয়া ভাবে, এই রকম জ্যোৎস্না আজ উঠিয়াছে তাদের মনসাপোতার বাডিতে, নাগপুরের বনে তার সেই খন্ডের বাংলোর সামনের মাঠে, বাল্যে সেই একটিবার গিয়াছিল লক্ষ্মণ মহাজনের বাডি, তাদের উঠানের পাশে সেই পুকুর পাড়টাতে, নিশ্চিন্দপুরের পোডো-ভিটাতে, অপর্ণা ও সে শ্বশুর বাডির যে ঘরটাতে শুইত-তাবই জানালার গায়ে-চাপদানীতে পটেশ্বরীদের বাডির উঠানে-দেওয়ানপুরের বোর্ডিংয়ের কম্পাউণ্ডে, জীবনের সহিত জড়ানো এই সব স্থানের কথা ভাবিতেই জীবনের বিচিত্রতা, প্রগাঢ় বহস্য তাহাকে অভিভূত করিয়া ফেলিল এবাব কলিকাতা হইতে বাডি ফিরিবার সময় মাঝেরপাড়া স্টেশনে নামিয়া অপু আর হ্যাটিয়া বাডি যাইতে পারিল না-খোকাকে আজ দেডমাস দেখে নাইছ’ক্রোশ রাস্ত পায়ে হঁটিয়া বাডি পৌছিতে সন্ধ্যা হইয়া যাইবে-খোকার জন্য মন এত অধীর হইয়া উঠিয়াছে যে, এত দেরি করা একেবারেই অসম্ভব।-বাবার কথা মনে হইল-বাবাও ঠিক তাকে দেখিবার জন্য, দিদিকে দেখিবার জন্য এমনি ব্যস্ত হইয়া উঠিতেন-প্রবাস হইতে তিনি ফিরিবার পথে তাদের বাল্যে। আজকাল পিতৃহৃদয়ের এসব কাহিনী সে বুঝিয়াছো-কিন্তু তখন তো স্থাটিয়া যাওয়া ছাড়া পন্থা ছিল না, এখন আর সেদিন নাই, মোটর-বাসে এক ঘণ্টার মধ্যেই নিশ্চিন্দিপুর। যা একটু দেরি সে কেবল বেত্রবতীর খেয়াঘাটে । গ্রামে পৌছিতে অপুর প্রায় বেলা তিনটা বাজিয়া গেল। সন্ধ্যার কিছু পূর্বে মাদুর পাতিয়া রাণুদিদের রোয়াকে ছেলেকে লইয়া বসিল। লীলা আসিল, রাণু আসিল, ও-বাড়ির রাজলক্ষ্মী আসিয়া বসিল। বাণুদের বাড়ির চারিধারে হেমন্ত অপরাহ ঘনাইয়াছে।” “নানা লতাপাতায় সুগন্ধ উঠতেছে কি অদ্ভুত ধরণের সোনালী রোদ এই হেমন্ত বৈকালের ! আকাশ ঘন নীল-তার তলে রাণুদিদের বাড়ির পিছনের বঁাশের ঝাড়ে সোনালী সড়কির মত বঁাশের সূচালো ডগায় রাঙ্গা রোদা-মাখানো, কোনটার উপর ফিঙে পাখি বসিয়া আছে-বাদুড়ের দল বাসায় ফিরিতেছে। --পাচিলের পাশের বনে এক BD DDD KMB BDD LDB D DDLSS w-80 VO