পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধ্যার শাঁখ বাজিল। জগতের কি অপূর্ব রূপ -আবার অপুর মনে হয়, এদের পেছনে কোথায় আর একটা অসাধারণ জগৎ আছে-ওই বঁাশবনের মাথার উপরকার সিদুর মেঘভরা আকাশ, বঁাশের সোনালী সড়কির আগায় বসা ফিঙে-পাখির দুলুনি-সেই অপূর্ব, অচিন্ত্য জগৎটার সীমানায় মনকে লইয়া গিয়া ফেলে। সন্ধ্যার শাখ কি তাদের পোডাভিটাতেও বাজিল ?--পুজার সময় বাবার খরচপত্র আসিত না, মা কত কষ্ট পাইতি-দিদির চিকিৎসা হয়। নাই-সে সব কথা মনে আসিল কেন এখন ? অন্য সবাই উঠিয়া যায়। কাজল পড়িবার বই বাহির করে। রাণু রান্নাঘরে রাধে, কুটুনো কোটে। অপুকে বলে-এইখানে আয় বসবি, পিাড়ি পেতে দিঅপু বলে, তোমার কাছে বেশ থাকি রাণুদি। গায়ের ছেলেদের কথাবার্তা डॉन कit?ों को ! রাণু বলে-দু'টি মুডি মেখে দি—খা বসে বসে। দুধটা জাল দিয়েই চা ক’রে দিচ্ছি । --রাণুদি সেই ছেলেবেলাকার ঘটিটা তোমাদের-না ? রাণু বলে-আমার ঠাকুরমা জগন্নাথ থেকে এনেছিলেন তার ছেলেবিয়সে। আচ্ছা অপু, দুগগার মুখ তোর মনে পড়ে ? অপু হাসিয়া বলে-না। রাণুদি। একটু যেন আবছায়া-তাও সত্যি কিনা বুঝিনে। রাণু দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিল—আহা! সব স্বপ্ন হয়ে গেল। অপু ভাবে, আজ যদি সে মারা যায়, খোকাও বোধ হয় তাহার মুখ এমনি ভুলিয়া যাইবে । রাণুর মেয়ে বলিল-ও মামা, আমাদের বাড়ির ওপর দিয়ে আজি ७शेप्लांग्श्र.ब्लन त्रिंक्षेत्र । কাজল বলিল-ই বাবা, আজ দুপুরে। এই তেঁতুল গাছের ওপর দিয়ে গোল অপু বলিল-সত্যি রাণুদি ? -ই তাই। কি ইংরেজি বুঝিনে-উড়ো জাহাজ যাকে বলে-কি নিশ্চিন্দিপুরের সাত বছরের মেয়ে আজকাল এরোপ্লেন দেখিতে পায় তাহা হইলে ? পরদিন সন্ধ্যার পর জ্যোৎস্না-রাত্রে অভ্যাস মত নদীর ধারে মাঠে বেড়াইতে গেল। কতকাল আগে নদীর ধারের ওইখানটিতে একটা সঁইবাবলা তলায় বসিয়া এইরকম বৈকালে সে মাছ ধরিত-আজকাল সেখানে সাইবাবলার বন, ছেলেবেলার সে গাছটা আর চিনিয়া লওয়া যায় না। V8