পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইছামতী এই চঞ্চল জীবনধারার প্রতীক। ওরা দু’পাড় ভরিয়া প্রতি চৈত্র বৈশাখ কত বনকুসুম, গাছপালা, পাখি-পাখালী, গায়ে গায়ে গ্রামের ঘাটশতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া কত ফুল ঝরিয়া পডে, কত পাখির দল আসে। যায়, ধারে ধারে কত জেলেরা জাল ফেলে, তীববর্তী গৃহস্থবাডিতে হাসি-কান্নার লীলাখেলা হয়, কত গৃহস্থ আসে, কত গৃহস্থ যায়—ক’ত হাসিমুখ শিশু মায়ের সঙ্গে নাহিতে নামে, আবাব বৃদ্ধাবস্থায় তাদের নশ্বর দেহের রেণু কলম্বন ইছামতীর স্রোতোজলে ভাসিয়া যায়-এমন কত মা, কত ছেলেমেয়ে, তরুণতরুণী মর্যাকালের বীথিপথে আসে যায়-অথচ নদী দেখায় শান্ত, স্নিগ্ধ, ঘরোয়া, निदीश् ।।’ আজকাল নির্জনে বসিলেই তাহাব মনে হয়, এই পৃথিবীর একটা আধ্যাত্মিক ৰূপ আছে, এর ফুলফল, আলোছায়াব মধ্যে জন্মগ্রহণ করার দরুন এবং শৈশব হইতে এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের বন্ধনে আবদ্ধ থাকার দরুন, এর প্রকৃত রূপটি BDDBBDD LB KBD DSS g BDBDDDB DDD S0S BBESLD DDBB BBB হইলেও আমাদের সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ও ঘোর রহস্যময়, এর প্রতি রেণু যে অসীম জটিলতায় আচ্ছন্ন-যা কিনা মানুষের বুদ্ধি ও কল্পনার অতীত, এ সত্যটা হঠাৎ চোখে পড়ে না। যেমন সাহেব বন্ধুটি বলিত, “ভাবতবর্ষের একটা ৰূপ আছে, সে তোমরা জানি না ! তোমরা এখানে জন্মেছ কিনা, অতি পরিচয়ের দোষে সে চোখ ফোটে নি তোমাদেব ।” আকাশের রং আব্ব এক বকম-দূরেব সে গহন হিরাকসের সমূদ্র ঈষৎ কৃষ্ণাভ হইয়া উঠিয়াছে।--তাব তলায় সারা সবুজ মাঠটিা, মাধবপুরের বঁাশবনটা কি অপূর্ব, অদ্ভুত, অপার্থিব ধবণেব ছবি ফুটাইয়া তুলিয়াছে!-ও যেন পরিচিত। পৃথিবীটা নয়, অন্য কোন অজানা জগতের কোনও অজ্ঞাত দেবলোকোব--- প্রকৃতির একটা যেন নিজস্ব ভাষা আছে। অপু দেখিয়াছে, কতদিন বক্রতোয়ার উপল-ছাওয়া-তটে শাল-ঝাডের নিচে ঠিক-দুপুরে বসিয়া-দূরে নীল আকাশের পটভূমিতে একটা পত্রশূন্য প্রকাণ্ড কি গাছ—সেদিকে চাহিলেই এমন সব কথা মনে আসিত যা অন্য সময় আসার কল্পনাও করিতে পারিত না -পাহাডের নিচে বনফলের জঙ্গলেও একটা কি বলিবাব ছিল যেন । এই BDBBD uBD BDDYYDuD sgB BBB DBDD DB DDBDJS igEBDDLD BBB দেখিল গাছপালায়, উইঢ়িবির পাশে শুকুনো খড়ের ঝোপে, দূরের বঁাশবনের সারিতে-সেই সব কথাই বলে-সেই সব ভাবই মনে আনে। প্রকৃতির এই ছবির ভাষাটা সে বোঝে। তাই নির্জন মাঠে, প্রাস্তরের বনের ধারে এক বেড়াইয়া সে যত প্রেরণা পায়-ৰে পুলক অনুভব করে তা অপূর্ব-সত্যিকার WS6