পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৬৮০

Joy of Life-ticks wait: 9 (or al-Rift, crity's 5Cs, stel-GStre মাখানে কষাড় ঝোপ, আকন্দের বন, ঘেটুবন-তাঁর আত্মাকে এরা ধ্যানের খোরাক যোগায়, এ যেন অদৃশ্য স্বাতী নক্ষত্রের বারি, তারই প্রাণে মুক্তার |ांनी दैीं ! সন্ধ্যার পূরবী কি গৌরীরাগিণীর মত বিষাদ-ভরা আনন্দ, নিলিপ্ত ও নিবিকার-বহুদূরের ওই নীল কৃষ্ণাভ মেঘরাশি, ঘন নীল, নিথর গহন আকাশটা মনে যে ছবি আঁকে, যে চিন্তা যোগায়, তার গতি গোমুখী গঙ্গার মত অনন্তের দিকে, সে সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের কথা বলে, মৃত্যুপারের দেশের কথা কয়,- ভালবাসা-বেদনা-ভালবাসিয়া হারানো-বহুদূরের এক গ্রীতি ভরা পুনর্জন্মের বাণী, , , এইসব শান্ত সন্ধ্যায় ইছামতীর তীরের মাঠে বসিলেই রক্তমেঘস্তুপ ও নীলাকাশের দিকে চাহিয়া চারিপাশের সেই অনন্ত বিশ্বের কথাই মনে পডে । মনে পড়ে বাল্যে এই কঁাটাভিরা সঁাইবাবলার ছায়ায় বসিয়া বসিয়া মাছ ধরিতে ধরিতে সে দূর দেশের স্বপ্ন দেখিত-আজকাল চেতনা তাহার বাল্যের সে ক্ষুদ্র গণ্ডী পার হইয়া ক্রমেই দূর হইতে দূরে আলোকের পাখায় চলিয়াছে—এই ভাবিয়া এক এক সময় সে আনন্দ পায়-কোথাও না যাকৃ—যে বিশ্বের সে একজন নাগরিক, তা ক্ষুদ্র, দীন বিশ্ব নয়। লক্ষ কোটি আলোক-বর্ষ যার গণনার মাপকাঠি, দিকে দিকে অন্ধকারে ডুবিয়া ডুবিয়া নক্ষত্রপুঞ্জ, নীহারিকাদের দেশ, অদৃশ্য ইথারের বিশ্ব যেখানে মানুষের চিন্তাতীত, কল্পনাতীত দূরত্বের ক্রমবর্ধমান পরিধিপানে বিস্তৃত-সেই বিশ্বে সে জন্মিয়াছে - ঐ অসীম শূন্য কত জীবলোকে ভরা-কি তাদের অদ্ভুত ইতিহাস! অজানা নদীতটে প্রণয়ীদের কত অশ্রুভরা আনন্দন্তীর্থ-সারা শূন্য ভরিয়া আনন্দ-স্পন্দনের মেলা-ইথারের নীল সমূদ্র বাহিয়া বহু দূরের বৃহত্তর বিশ্বের সে-সব জীবনধারার ঢেউ প্রাতে, দুপুরে, রাতে, নির্জনে একা বসিলেই তাহার মনের বেলায় আসিয়া লাগে-অসীম আনন্দ ও গভীর অনুভূতিতে মন ভরিয়া উঠে-পরে সে বুঝিতে পারে শুধু প্রসারতার দিকে নয়—যদিও তা বিপুল ও অপরিমেয়-কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে চেতনা-স্তরের আর একটা Dimension যেন তার মন খুজিয়া পায়এই নিস্তব্ধ শরত-দুপুর যখন অতীতকালের এমনি এক মধুর মুগ্ধ শৈশব-দুপুরের ছায়াপাতে স্নিগ্ধ ও করুণ হইয়া উঠে তখনই সে বুঝিতে পারে চেতনার এ স্তর বাহিয়া সে বহুদূর ঘাইতে পারে।--হয়ত কোন অজ্ঞাত সৌন্দর্যময় রাজ্যে, দৈনন্দিন ঘটনার গতানুগতিক অনুভূতিরাজি ও একঘেয়ে মনোভাব যে রাজ্যের সন্ধান দিতে পারিতই না কোনদিন।-- ver