পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-আর পারলাম না থাকতে রাণুদি। সে কি টান, তা যদি একবার বুঝতে । যা দেখি যা করি, সবই যেন কেমন ফঁাকা আর অর্থহীন লাগে। সেই বাড়ীতে a v5 gvci রাণী হাসিয়া বলে-আর আমরা বুঝি কেউ নই ? -কে বলেছে একথা রাণুদি ? তোমরা সবাই মিলে আমাব জীবন সার্থক করে তুলেছি। কোথায় যেত আজ কাজল-তুমি না থাকলে ? তোমার দান কি ভোলবার ? মায়ের স্নেহ দিয়ে আমাদেব দুজনকেই ঘিবে রেখেচা তুমি । রাণীর গলার কাছে হঠাৎ একটা কি কুণ্ডলী পাকাইয় ওঠে ! এত সুখেব দিনও ভগবান তাহার কপালে লিখিয়াছিলেন । পরে সামলাইয়া বলে-এই নে, দুটো পবোটা আগে খা, তারপব গরম গরম ভেজে দিচ্ছি।-- রাত্রে ছেলেকে লইয়া শোয় অপু। অনেক রাত্রি পর্যন্ত কাঠােবও ঘূমি আসে না । বৈকালে একবাব খুব ঝাড হইয়া বৃষ্টি নামিয়াছিল। তাই গরম নাই তাত । জানালার পাশে শুইয়া আকাশে নক্ষত্রগুলি দেখা যায় স্পষ্ট । মধ্যপ্রদেশ হইতে ফিরিয়া একই নক্ষত্র কলিকাতাব আকাশে দেখিয়া তাহাব কেমন অবাক লাগিয়াছিল। আবার ফিজি ঘুরিয়া আসিয়া, এই নক্ষত্রগুলিকে কেমন চেনা-চেনা অথচ অনেক দূরের বলিয়া মনে হইতেছে। বিদেশে ইহারাই ছিল তাতার সঙ্গী-এই নক্ষত্র, মুক্ত উদার আকাশ প্রান্তরের বুকের উপর দিয়া বহিয়া-যাওয়া ভবঘুরে বাতাস। সেও সুন্দর-জীবন-সে যে জীবন চাহিয়াছিল, সেই জীবন । কিন্তু এখন কাজলের পাশে শুইয়া তাহাব উদ্দাম জীবনের গতিবেগ কিছুটা প্রশমিত করিতে ইচ্ছা করিল। কোথায় ফেলিয়া যাইবে একে ? একবার গিয়া তো মৰ্মে মর্মে অনুভব করিয়াছে নাডিবা টান । শৈশবে বাবা অনেকদিন না আসিলে তাহার রাগ হইতি-অভিমান হইত। বাড়ী ফিরিয়া অনেক চেষ্টা করিয়া হরিহরকে অপুর রাগ ভাঙাইতে হইত। এখন বড় মমতা হয় হরিহরের প্রতি। বাবা কি আব ইচ্ছা করিয়া আসিত না। সংসার চালাইবাব দুরূহ প্রয়াসে বাবাকে কোথায় না ঘুরিতে হইয়াছো-কি না করিতে হইয়াছে। বেচার বাবাতাহারও কত ইচ্ছা করিত অপুকে দেখিতে ; আসিতে পারিত না শুধু কাজের চাপে । বই-খাতা বগলে তালি-মারা ছাতা হাতে স্থান হইতে স্থানান্তরে বেড়াইত কাজের সন্ধানে। আজ অপু লেখক হইয়াছে-বই বাজারে কাটিতেছে মন্দ নয়, তাহার চাইতে বেশী মিলিতেছে প্রশংসা । কত বৎসর vo