পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরে তাহাদের বাড়ীর লোক আজি সচ্ছলতার মুখ দেখিতেছে। কিন্তু বাবাকে দেখানো গেল না। এই সব দিন-বাবা বাচিয়া থাকিলে বৃদ্ধ হইয়া যাইত, তাহাকে অপু শিশুর মত পরিচর্য্যা করিত। থাক-কাজলের মধ্য দিয়া সে তাহার শৈশবে হারাইয়া-যাওয়া পিতাকে খুঁজিয়া পাইয়াছে। তাহাকে মনের মত করিয়া মানুষ করিতে হইবে-ঠিক যেমন করিয়া সে চায়, তেমনি করিয়া । ভাবিয়াছিল, গ্রামে না। রাখিয়া কাজলের প্রতি সে অন্যায় করিতেছে। গ্রামে হয়তো কাজলের শিশুমন পূর্ণভাবে বিকশিত হইয়া উঠিবার সুযোগ পাইবে। তাই ছেলেকে কলিকাতার অসুন্দর পরিবেশ হইতে আনিয়া একেবাবে প্রকৃতির মধ্যে ছাডিয়া দিয়াছিল। এখন ভাবিল, এইভাবে বাখিলে উহার পড়াশুনা কিছুই হইবে না। বরং কোন-একটা ছোট শহরে লইয়া যাই । মাঝে মাঝে গ্রামে লইয়া আসিবে-মাঝে মাঝে বেড়াইতে লইয়া যাইবে দূরে। তাহাতে উহার চোখ ভাল করিয়া ফুটিবে। সব দিক দিয়াই ছেলেকে চৌকস করিয়া MfGT SIG পরের দিন। সারাবেল অত্যন্ত গবাম ছিল—কোথাও বাহির হওয়া যায় নাই। বিকালের দিকে রোদ একেবারে কমিয়া গেলে অপু ছেলেকে জিজ্ঞাসা করিল-বল দেখি কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায় ? পরে নিজেই খানিকক্ষণ ভাবিয়া বলিল-চল। আগে বেরুই তো, তারপর দেখা যাবে। নে, হাত মুখ ধুয়ে জামাটা পরে নে। নিজের সার্টটা আনিবার জন্য ঘবে ঢুকিতে গিয়া কি মনে করিয়া জোরে ডাকিল, রাণুদি ! রাণী ভিতরে ছিল, আসিয়া বলিল-কি ? আবে, বেরুচ্ছিস বলে মনে ॐ CSS ! --রাণুদি, একটা জিনিস খেতে বড় ইচ্ছা করচে, খাওয়াবে ? -ও মা ? সে আবার কি কথা । খাওয়াবো না কেন। বল না-গরম পড়েছে খুব, একটু আমপোড়া-সরবৎ খাওয়াবে ? -আমপোডা-সরবৎ ! সে আবার কি রে । কখনো শুনি নি । -আমাদের এদিকে খায় না । বাবা পশ্চিম থেকে শিখে এসেছিলেন । পশ্চিমে খুব খায়। বাবা মাঝে মাঝে করতে বলতেন। তুমি বানাও রাণুদি, আমি দেখিয়ে দিচ্চি । -করচি। এই সামান্য ব্যাপার, আমি ভাবি কি-না-কি খেতে চাইবি । এটা কিন্তু সামান্য ব্যাপার নয়। রাণুদি।। কতদিন থাইনি বলে তো ? ছোটবেলায় মাঝে মাঝে মা করে দিতেন। আমাদের অবস্থা কি ছিল, সে তো s