পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবাই তাহাকে অগ্রিম টাকা দেয়, তাহার বই পাইবার জন্য হঁাটাহাটি করে। সকাল দুপুবে বিকালে প্রচুর চিঠি আসে-পাঠকেরা মুগ্ধ হইয়া লিখিতেছে। অপু সবার চিঠির উত্তর দেয়, সামান্য একলাইনে লিখিলেও। প্রত্যেককে দীর্ঘ 5ि 6७घ्र। नडद नcश् । জীবন কানায় কানায় পূর্ণ হইয়া উঠিতেছে। আর কি প্রত্যাশা করিবার আছে ? সে তার্থ পাইতেছে এবং নাম করিয়াছে এটাই বড় কথা নহে-সে দু-চোখ ভবিয়া প্রাণ স্পরিয়া জগৎটা দেখিয়া লইয়াছে । আরও দেখিবে। সে থামিবে না । গাৰ্হস্থ্য তাহার কপালে লেখা নাই । টাকা আনিৰে পাবলিশবের কাছে গিয়া একদিন জিজ্ঞাসা করিলআপনাব সন্ধানে পোন ভাল জায়গা আছে বিহারের দিকে ? ভাবছি কিছুদিন ওদিকে থাকবো।-- প্রকাশক হাসিয়া বলিলেন-আপনার ঘোরা বাতিকটা আর গেল না। হ্যা, জায়গার খোজ দিতে পারি । অল্প কয়েকদিন থাকবেন, না - ভাবছি। একটা ছোটমতো বাড়ি পেলে কিনে নিতাম । অপুকে তিনি একটি জায়গায় কথা বলিলেন, কলিকাতা হইতে খুব দূরে নহে, জামসেদপুরের কাছাকাছি । হাওড়া হইতে ট্রেনে মাত্র ঘণ্টা পাচেক লাগে। পাহাড়ী এলাকা-অপুর বেশ ভাল লাগিবে, তিনি বারবার একথা বলিতে লাগিলেন । --জঙ্গল আছে ? প্রাকৃতিক দৃশ্য কেমন ? -খুব ভালো । সে আপনি নিজের চোখে দেখবেন। আপনাকে তো চিনি। ভাল না হলে আমি আপনার কাছে ও-জায়গার নাম করি। কখনো । অপু আবি ও দু’পাচজনকে জিজ্ঞাসা করিল। অনেকেই বিশেষ কোন খবর দিতে পাবিল না । কেবল দুইজন লোক, যাদের কথার অপু মুল্য দেয়, জায়গাটার সম্বন্ধে প্রশংসা করিল। প্রকাশকই খোজ করিয়া একটা বাডি বাহির করিলেন এবং অপু বিশেষ দেরী না করিয়া বাড়িটা কিনিয়া ফেলিল । কিনিবার জন্য সে নিজে যায় নাই, বাড়ীর ছবি দেখিয়াছিল মাত্র । টালির ছাদওয়ালা ছোট সুন্দর বাড়ী। পাশে দুইটা ইউক্যালিপটাস গাছ পাশাপাশি যমজ ভাইয়ের মতো উঠিয়াছে। বহু পিছনে একটা পাহাড় দেখা যায়। ছবিতে বেশ একটা রহস্যের ভাব ফুটিয়াছিল। --বিশেষতঃ পিছনেব পাহাড়টা অপুকে আকর্ষণ করিল। ছবিটা প্রকাশককে ফেরত দিয়া সে বলিল-আমি আর দেখতে যাবে না। আপনার ওপর সম্পূর্ণ ভরসা করেই কিনছি। আপনি লোক পাঠিয়ে দিন টাকা সঙ্গে দিয়ে। দলিল