পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাত-পা নাড়িয়া কাজল দুর্বল জীবের পক্ষে অনেক ওকালতি করিল। অবশেষে অনুমতি মিলিল। এবারে বাচ্চাকে তো কিছু খাওয়ানো প্রয়োজন। কুকুরের বাচ্চ কি খায়, এ সম্বন্ধে ধারণা না থাকায় হৈমন্তীর কাছে আবার शिंभ्र धैांफुझेऊ श्शेल । - ! --কি রে ? -ওটাকে কি থেতে দিই এখন ? রাগ করিতে গিয়া হৈমন্তী হাসিয়া ফেলিল । ছেলেকে কাছে টানিয়া লইয়া বলিল-বড় বাচ্চা যে, দুধ ছাড়া কি অন্য কিছু খেতে পারবে ? তুই বরং রান্নাঘরের কড়া থেকে খানিকটা দুধ নারকোলের মালায় নিয়ে খাওয়াগে । খাদ্যের প্রতি বাচ্চাটার একটা দার্শনিকসুলভ নিম্পূহত । কাজল জোব • করিয়া দুধের মধ্যে মুখ ডুবাইয়া দিলে নাকের মধ্যে দুধ ঢুকিয়া হাচিয়া সে অস্থির হইল। এক-মালা দুধ খাওয়াইতে বেলা গড়াইয়া অন্ধকার নামিল। দুই-তিন দিনের মধ্যে কুকুরছানা নৃতন জায়গায় অভ্যস্ত হইয়া আসিল । কাজল বাবাকে বলিয়াছে কলিকাতা হইতে কুকুরের গলার চেন আনিয়া দিতে । চেন গলায় দিয়া সকাল-বিকাল কাজল তাহাকে লইয়া গ্রাম পরিক্রমা করিবে । ওয়াইডওয়ার্লড ম্যাগাজিনে কুকুরের বীরত্ব সম্বন্ধে ভাল ভাল গল্প ছাপা হয়— বাবার কাছে কাজল অনেক গল্প শুনিয়াছে। সে-ও ইহাকে সুশিক্ষিত করিয়া বীরত্ব-অভিযানের সঙ্গী করিবে । কুকুরের নাম রাখা হইল-কালু। সাতদিনের মধ্যেই কালু কাজলের পরমভক্ত হইয়া উঠিল। কাজল নিজে আসিয়া খাইতে না দিলে খায় না— সর্বদা কাজলের পেছন পেছন ঘোরে। বেশ ভাল চলিতেছিল, কিন্তু মাসখানেক বাদে হঠাৎ কালুর কি অসুখ করিল। সকাল হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝিমায়, খাওয়া দাওয়া একদম ছাড়িয়া দিয়াছে। প্রথমে কাজল আমল দেয় নাই, পরে দেখিল কালুর উঠিবার ক্ষমতা লুপ্ত হইয়াছে। তিনদিন আগেও লাফালাফি করিয়া বেড়াইয়াছে, ইদানীং সৰ্বক্ষণ শুইয়া থাকে। কাজলের সাড়া পাইলে অতিকষ্টে একবার মাথা তুলিয়া তাকায়। অশক্ত ঘাডের উপর মাথাটা কঁপে, কিছুক্ষণ বাদে আবার চটের উপর পড়িয়া যায়। অপু দেখিয়া বলিল-আহা রে! কালু বোধহয় আর বঁাচবে না। সারাটা বিকাল ধরিয়া কালু অস্পষ্ট আর্তনাদ করিল, রাত্রি বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে কাতর গোঙানি। কালু মারা যাইতেছে, কালু ভীষণ কষ্ট পাইতেছে, অথচ কাজলের কিছুই করিবার নাই। চাঁপা গোঙানি তাহাকে কিছুতেই ঘুমাইতে Coor