পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিল না। রাত্রে মার বুকের কাছে তাহার মনে হইল, তাহার অসুখ করিলে মা-বাবা ব্যস্ত হইয়া সেবা করে।--আর বেচারা কালু অন্ধকারের ভিতর এক একা কষ্ট পাইয়া মরিতেছে। কাজল ফু পাইয়া কঁাদিয়া উঠিল। হৈমন্তী তাহাকে কাছে টানিয়া বলিল-কঁদতে নেই মাণিক আমার । 侮一 আদরের কথা শুনিয়া কান্নাটা আরও বাডিল। অশ্রুরুদ্ধ-কণ্ঠে কাজল বলিল —কালু কত কষ্ট পাচ্ছে, অন্ধকারের মধ্যে রয়েছে হৈমন্তী তাহার মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিল—এক কোথায় পাগলা। ওর কাছে ঠিক ভগবান এসে বসে আছেন, জানিস। যারা কষ্ট পেয়ে মারা যায়, তাদের আত্মাকে ভগবান নিজের হাতে স্বৰ্গে নিয়ে যান । ঠিক ওর পাশে ভগবান এসে বসেছেন কাজলের দুঃখের বেগটা একটু কমিয়া আসিল । এ ভাবে সে কখনো ভাবিয়া দেখে নাই। একথা যদি সত্য হয়, তবে দুঃখের কিছুই নাই। ভগবান যদি আসিয়া থাকেন—তবে ভালই তো। কাজল স্পষ্ট দেখিল, কালুর পাশে এক জ্যোতির্ময়দেহ বিশাল পুরুষ-উন্নতললাট, দীপ্তািনয়ন। তঁার হাতে পৃথিবী শাসনের স্বর্ণদণ্ড । তিনি আসিয়াছেন ক্লিষ্ট আত্মাকে স্বহস্তে স্বৰ্গে লইয়া যাইবার জন্য । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ج8ig م সুবর্ণরেখা । বালির চর বুকে করিয়া নদীটাি সারাদিন পডিয়া থাকে। স্বল্প জল এখানেওখানে বালির মধ্য দিয়া বহিয়া যায়। নদীর মাঝখানে বড় বড় কালো পাথরের চাই প্রাগৈতিহাসিক জন্তুর মত পডিয়া আছে। উপরের প্রখর নীল আকাশ ধূসর দিগন্তের সহিত একটা অদ্ভুত বৈষম্য সৃষ্টি করিয়াছে। মাটির বঙ লাল। জমি সর্বত্র উচুনিচু। স্থানটিতে কেমন একটা বৈরাগ্যের ভাব अहिछ, भांद्धि हैश्विक द्रgद्धि भऊ । মৌপাহাড়ীতে লোকজন কম। দিনের বেলায় মনে হয় কিসের উপলক্ষে যেন ছুটি হইয়া গিয়াছো-সবাই ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। সন্ধ্যার সময় একটা কালে চাদর ক্রমশঃ সবকিছু ঢাকিয়া ফেলে। বি বি এবং অন্যান্য পতঙ্গের R