পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাকের মধ্য দিয়া রাত্রি মৌপাহাড়ীকে গ্রাস করিয়া লয়। অপু ইহার ভিতরে কি-একটা যেন খুজিয়া পাইয়াছে। মানুষের সঙ্গকেবল কাজল এবং হৈমন্তী ছাড়া-তাহার কাছে আর কাম্য নহে। বইখাতা ' বগলে দিনের প্রায় সময়টাই সে বাহিরে ঘুরিয়া কাটায়। নদীর ধারে একখানি বড় পাথরের উপর বসিয়া সে লেখে। জীবনকে সে অলসভাবে একদিক হইতে দেখে নাই। তাহার দেখা বিচিত্র জীবনের কথা সে আগামী যুগের জন্য রাখিয়া যাইবে। লিখিতে লিখিতে কখনো মুখ তুলিয়া দেখে সামনে সুবর্ণরেখার বিস্তৃত বক্ষ, ওপারে। প্রান্তরের গৈরিক প্রসার। পড়ন্ত সূর্যালোকে নদীর বালির মধ্যে মিশ্রিত অভ্র কণা চিক্‌ চিক্‌ করিতেছে। আকাশে-বাতাসে কিসের একটা অস্পষ্ট ইঙ্গিত অপুকে বিচলিত করে। কি-একটা এখনই করিতে হইবে, কিএকটা করিবার আছে-কিন্তু কিছুতেই করা হইতেছে না। শরীরের মধ্যে LBBS BDDBD BDB BDB LLL S LBB DBDS SDBD DBBD DDDS D কাজের ভগ্নাংশও করা হইল না। যাহা জানিবার ছিল, তাহার কণামাত্রের स्त्रांशांना श्ब्ज भांद्ध । শরীর লইয়া অপু খুবই বিব্রত। নিশ্চিন্দিপুর ছাড়িয়া আসার পর মৌপাহাড়ীতে তিন-চার বৎসর কাটিল, কিন্তু স্বাস্থ্যের খুব-একটা উন্নতি হয় নাই । প্রায়ই বুকে একটা যন্ত্রণা হয়। মাথা ভার ঠেকে, অম্বল হয়। এ সব কথা সে কাহাকেও বলে না। অসুখ গা-সহ হইয়াছে। সন্ধ্যা ঘনাইলে লেখা বন্ধ করিয়া নক্ষত্রের আলোয় বার্ডী ফিরিতে ফিরিতে হঠাৎ ছোট টিলাটার গা ঘোষিয়া বিশাল বৃহস্পতি গ্রহটিাকে উঠতে দেখিয়া তাহার অসুখের কথা বিস্মরণ হইয়া যায়। সেতারের জলদের মত জীবনটা কাহার হাতের স্পশে । যেন বাজিতেছে। কিসের স্পর্শে যেন জীবনের রঙ বদলাইতেছে, সুরের পরিবর্তন ঘটিতেছে। সুবর্ণরেখার ধারে বসিয়া সময় কাটাইতে কাটাইতে অপু নদীর সঙ্গে নিজের মিল খুজিয়া পায়। একা থাকিলেও মনে হয় না, সে একা আছে। কাহার উপস্থিতি যেন রহিয়াছে আশেপাশে, অনুভব করা যায় কেহ পেছনে আসিয়া দাডাইয়াছে, চোখ ফিরাইলে সরিয়া যায় দূরে। একদিন, একটা কাণ্ড ঘটিল! অপু বসিয়া লিখিতেছে, একটা প্রজাপতি আসিয়া বসিল তাহার খাতার পাতায় । সে হাত বাড়াইয়া ধরিতে গেলে সেটা উডিয়া একটু দূরে একটা পুটুস গাছের উপর বসিল। অপুর হঠাৎ কেমন মনে হইল, সুন্দর প্রজাপতিটাকে ধরিতেই হইবে। এক টুকরা পাথর খাতার উপর চাপা দিয়া উঠিল। te