পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রজাপতিটা ধরা গেল না । গাঢ় লাল আর বাদামি ডানা-ওয়ালা পতঙ্গ তাহাকে দূর হইতে দূরে লইয়া গেল। এক ঝোপ হইতে অন্য ঝোপ করিতে করিতে অপু আচ্ছন্নের মতো দৌডাইল। বাতাস অপুর চুল অবিন্যস্ত করিয়া দিল, তাহার ধুতিতে চোরকাটা লাগিয়া গেল। পাথরে লাগিয়া পায়ের এক জায়গা কাটিয়াও গেল, কিন্তু প্রজাপতি পাওয়া গেল না । মাইলখানেক দৌডাদৌডি করিয়া অপু নিজের বসিবার জায়গায় ফিরিয়া আসিল । পাথরের উপর রাখা খাতার পাতা বাতাসে অল্প অল্প উড়িতেছে, চাপা আছে বলিয়া একেবারে উডিয়া যায় নাই । অপু পাথরটার এককোণে বসিয়া শূন্য দৃষ্টিতে সুবর্ণরেখার দিকে তাকাইয়া अश्लि। বয়স বাডিবার সঙ্গে সঙ্গে কাজলের দুষ্টামি কমিয়াছে। আগের মত লাফালাফি করিতে আর ভালবাসে না । মৌপাহাড়ীতে তাহার সমবয়সী কম। সমবয়সীদের সঙ্গে কখনই তাহার বন্ধুত্ব গডিয়া ওঠে নাই। বয়সে যাহারা অনেক বড়, তাহদের সঙ্গেই বরঞ্চ কাজলের জমে ভাল । একদিন কযেকটা ছেলে মিলিয়া মাইল তিনেক দূরের একটা পাহাডে বেড়াইতে গিয়াছিল। কাজলের মনে হইয়াছিল, ছেলেগুলি এক একটি আন্ত বর্বর। ঢ়িল কুডইয়া ভীষণ জোরে ছুডিতেছে, লাফাইতেছে, চীৎকার করিতেছে, নিজেদের মধ্যে তুচ্ছ কারণে মারামারি করিতেছে। অথচ চারিপাশে কেমন সুন্দর পাহাড়ী পরিবেশ। নির্জন স্থানে স্তব্ধতা খা খা করিতেছে। মাঝে মাঝে বাসায়-ফেরা কি-এক ধরনের পাখী মাথার উপর দিয়া মধুর সুরে ডাকিয়া যাইতেছে। সব মিলাইয়া বেশ ঘনিষ্ঠ আনন্দময় পরিবেশ । ছেলেরা এসব মোটে বুঝিতেছে না। কাজল ক্রমশঃ বিরক্ত হইয়া উঠিল। বড় গোলমাল করে। ইহারা । তাহার মনের সঙ্গে ইহাদের কোন যোগাযোগ নাই। থামাইবার জন্য সে কিছুদিন আগে-পড়া একটা গল্প বলিতে শুরু করিল, কিন্তু সে গল্পে 6कङ् ऐछे९माझ श्रृंiझेल मा । ধীরে ধীরে, অল্প বয়সেই, কাজলের ভিতর একটা বোধ জাগিয়া উঠিতেছিল, তাহার সহিত অন্যের মনের মিল হয় না-হইবে না। সে একা থাকে। অপু প্রচুর বই আনিয়া দিয়াছে। অনেক বিদেশী সাহিত্যের অনুবাদ সে পড়িয়া শেষ করিয়াছে। অপু তাহাকে নিজেই জোঁজী শিখাইতেছে, যাহাতে কাজল শীঘ্রই বিশ্বসাহিত্যে প্রবেশ লাভ করিতে পারে। কাজলও অসাধারণ দক্ষতা দেখাইয়া ইংরাজী ভাষা-শিক্ষায় অনেক দূর অগ্রসর SS