পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাত্তিরে বাবা তো পালিয়ে যাবার মতলব করলেন । বাবার বয়স তখন সাতাশআটাশ, রক্ত গরম। কথা ছিল মাইল দশেক দূরে এক জায়গায় দেখা করার, সেখান থেকে সায়েব বাবাকে নিয়ে চলে যাবে। ঠাকুমা কি করে জানতে পেরে আগে থেকে রাস্তায় গিয়ে দাড়ালেন। বাবা ঘোড়ায় চেপে বাড়ীর পাশের বড় আমবাগানটা পার হচ্ছেন, ঠাকুমা এসে পড়লেন একেবারে ঘোড়ার সামনে । বললেন-হরু, যেতে হয় আমার উপর দিয়ে ঘোড চালিয়ে যা । বাবার আর বিলেত যাওয়া হলো না । পরের দিন আবার দেখা হইবে বলিয়া কাজল বিদায় লইল । ব্যোমকেশের সহিত কাজলের ঘনিষ্ঠত বেশ বাডিয়া উঠিল। দুইজনে শহর ছাড়াইয়া গ্রামের দিকে বেড়াইতে যায়, কঁঠালিয়া গ্রামের আখের আলির বাড়ী যায়। ব্যোমকেশ মাঠের মধ্যে হাত-পা নাডিয়া গান করিতে করিতে হাটে । কখনো বৃষ্টি আসিলে দুজনে দৌড়াইয়া চাষীদের ধান পাহারা-দেওয়া চালার নিচে আশ্রয় নেয়। বৃষ্টি দেখিতে দেখিতে ব্যোমকেশ একটা সিগারেট ধরাইয়া বলে-চমৎকার বৃষ্টি, গাইতে ইচ্ছে করছে। দেশ আর মল্লার-এ দুটো কামঝম বৃষ্টিতে ভারী জমে, বুঝলে ? কোথায় একটা পাখী ডাকিয় ওঠে-কুউ-কু-উ। কুউ-কু-উ। স্বরটা খাদ হইতে আরম্ভ হইয়া চড়ায় গিয়া শেষ হয়। ব্যোমকেশ বলে-বর্যাকোকিল ডাকছে, শুনছো ? BDDY DBD DBBDD BDBDBSDBD BBS BB BBBDD DDD জানিত না-বর্ষার কোকিল আছে নাকি আবার ? --নেই তো। ওটা কি ডাকছে ? চারিদিকে বুক-সমান ধানগাছ দেখাইয়া ব্যোমকেশ বলে-রামনগরে • এইরকম ধানক্ষেতে বর্ষার দিনে আমাকে একবার সাপে তাড়া করেছিল। টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে, আলের উপর দিয়ে হাটছি, এমন সময় ধানগাছের ভেতর থেকে বিরাট কেউটে এসে আলের ওপর উঠল। এ কি তার কেঁাস-ফোসোনি, কি তার কুলোপান চক্কর। নেহাৎ আমার কাছে বেদের-দেওয়া সাপের ওষুধ ছিল, তাই বেঁচে গেলাম। --কি করলে ওষুধ দিয়ে ? -ওষুধ একরকম শেকড়। সাপের ভয়ে তাই সবসময় পকেটে নিয়ে ঘুর্ব্বতাম-আমাদের ওদিকে ভীষণ সাপের উপদ্রব কিনা। ছোবল মারবে বলে সাপটা যেই ফণা তুলেছে, অমনি শেকড়টা বাড়িয়ে দিলাম। সাপ মাথা নিচু -कप्त छात्र cशन-मा कोशष् । S.