পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-দেখা কাজল এই ইংরেজী এসেটা কি সুন্দর লিখেছে। বানান ভুল, ব্যাকরণের ভুল একটাও নেই। আমি বলে দিচ্ছি হৈম, এ ছেলে বংশের নাম উজ্জল করবে। --আশীর্বাদ করে বাবা, তাই যেন হয়। হৈমন্ত্রী নিজের ঘরে ফিরিয়া জানলার কাছে দাড়ায়। বাহিরে ঘন অন্ধকার। ঐ অন্ধকারের ভিতর সুরপতি আলোর প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন। কাজল মানুষ হইতেছে, সুরপতি বলিয়াছেন কাজল বড় হইবে। ছেলেবেলা হইতে হৈমন্তী বাবাকে বড় বিশ্বাস করে। কাজল দ্বাদশ পরিচ্ছেদ স্কুল হইতে বাহির হইয়া কাজল রিপন কলেজে ভতি হইল। প্রবেশিক পরীক্ষায় সে খুব ভাল করিয়াছিল-বিশেষতঃ ইংরাজিতে। যে কোনো অধিকতর অভিজাত কলেজে সহজেই সে ভর্তি হইতে পারিত, কিন্তু এক রকম DD S DDD SBB Du DDD SS BDD BBB BDDDDBDDBB BKB করিতে গেল।. আদিনাথবাবু আদর করিয়া তাহাকে ঘরের ভিতর লইয়া গেলেন। কাজল বলিল-আশীর্বাদ করুন। সার, যেন মানুষ হতে পারি। সবাই বলছে রিপিনে ভতি না হয়ে প্রেসিডেন্সী বা অন্য কোথাও যাওয়া উচিত ছিল। আদিনাথবাবু চশমা খুলিয়া কেঁাচার প্রান্তে কাচ পরিষ্কার করিতে করিতে বলিলেন-মানুষ হওয়া তোর কেউ আটকাতে পারবে না। অমিতাভ। অনেকদিন ধরে শিক্ষকতা করছি, চুল পেকে গেছে—আমি মানুষ চিনি। তোর মধ্যে ক্ষমতা আছে, সেটা নষ্ট হতে দিস না । চশমা মুছিবার পর, না পরিয়া অনেকক্ষণ সেটা হাতে ধরিয়া রাখলেন। অন্যদিকে তিনি তাকাইয়া আছেন। হঠাৎ তাহাকে যেন বেশি বৃদ্ধ দেখাইতে লাগিল। কাজল ভাবিল-বডড বুড়ো হয়ে গেছেন। সার, বয়সের তুলনায়। চোখের নীচে কালি পড়ে গিয়েছে। একা মানুষ, কত আর খাটবেন। মুখ ফিরাইয়া আদিনাথবাবু বললেন-কত আশা ছিল বড় হবে, নাম করবো। সেইভাবেই জীবনটাকে তৈরী করবার চেষ্টা করেছিলাম। তারপর সংসারের ঘানিকলে বাধা পড়ে ঘুরছি ভো, ঘুরছিই। বিলেত যাবার খুব ইচ্ছে ছিল । এখন সে কথা মনে পড়লে হাসি পায়। কত চিন্তা করেছি। রাত্তিরে SO e