পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আবার একা দেখিয়া তাহার তৃপ্তি হইত না, প্রতিবারই স্ত্রী-পুত্র লইয়। যাইতেন এবং খরচপত্র করিয়া সর্বস্বাস্ত হইয়া ফিরিতেন । দিব্য আরামে নিজের চণ্ডীমণ্ডপে বসিয়া থেলো হুক টানিতেছেন, মনে হইতেছে, সান্যাল মহাশয়ের মতন নিতান্ত ঘরোয়া, সেকেলে, পাড়াগায়ের প্রচুর অবসরপ্রাপ্ত গৃহস্থ বুঝি বেশী আর নাই, পৈতৃক চণ্ডীমণ্ডপে শিকড গাড়িয়া বসিয়াছেন। } হঠাৎ একদিন দেখা গেল দরজায় তালাবন্ধ, বাড়ীতে জনপ্রাণীর সাড়া নাই। ব্যাপার কি ? সান্যাল মশায় সপরিবারে বিন্ধ্যাচল, না চন্দ্রনাথ ভ্রমণে গিয়াছেন। অনেকদিন আর দেখা নাই হঠাৎ একদিন দুপুর বেলা ঠুক,ঠুক শব্দে লোকে সবিস্ময়ে চাহিয়া দেখিল, দুই গরুর গাড়ী বোঝাই হইয়া সান্যাল মশায় সপরিবারে বিদেশ হইতে প্রত্যাগমন করিয়াছেন ও লোকজন ডাকাইয়া হাটু সমান উঁচু জলবিছুটি ও অজুন গাছের জঙ্গল কাটিতে কাটিতে বাড়ী ঢুকিতেছেন। BB GBH D DBBBD DB DDD K BDDD BDDD BDB উপস্থিত হইতেন—এই যে প্রসন্ন, কি বািকম আছো, বেশ জাল পেতে বসেচ যে ! ক'টা মাছি পড়লো ? নামতা-মুখস্থ-রত অপুর মুখ আমনি অসীম আহিলাদে উজ্জল হইয়া উঠিত। সান্যাল মশায় যেখানে তালপাতার চাটাই টানিয়া বসিয়াছেন, সেদিকে হাতখানেক জমি উৎসাহে আগাইয়া বসিত। শ্লেট বই মুড়িয়া একপাশে রাখিয়া দিত, যেন আজ ছুটি হইয়া গিয়াছে, আর পড়াশুনার দরকার নাই ; সঙ্গে সঙ্গে তাহার ডাগর ও উৎসুক চোখদুটি গল্পের প্রত্যেক কথা যেন দুভিক্ষের ক্ষুধার আগ্রহে গিলিত । কুঠির মাঠের পথে যে জায়গাটাকে এখন নালতাকুঠির জোল বলে, ঐখানে আগে-অনেক কাল আগে-গ্রামের মতি হাজরার ভাই চন্দর হাজরা কি বনের গাছ কাটিতে গিয়াছিল। বর্ষাকাল-এখানে ওখানে বৃষ্টির জলের তোড়ে মাটি খসিয়া পড়িয়াছিল, হঠাৎ চন্দর হাজরা দেখিল, এক জায়গায় যেন একটা পিতলের হাড়ির কানামত মাটির মধ্য হইতে একটুখানি বাহির হইয়া আছে। তখনই সে খুঁড়িয়া বাহির করিল। বাড়ী আসিয়া দেখে-এক হাঁড়ি সেকেলে আমলের টাকা। তাই পাইয়া চন্দবু হাজরা দিনকতক খুব বাবুগিরি করিয়া বেড়াইল-এসব সান্যাল মশায়ের নিজের চোখে দেখা । এক একদিন রেলভ্রমণের গল্প উঠিত। কোথায় সাবিত্রী পাহাড় আছে, uBBB ukB BDBB DBDD D DB BDD DBDDDBDS DBBDD DS SDS গিয়া পাণ্ডার সঙ্গে হাতাহাতি হইবার উপক্রম ! কোথাকার এক জায়গায়। ዓቅ