পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৮০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরাইয়া দেওয়া হইল। এ, আব, পি, বাড়ী বাড়ী ঘুরিয়া নাম-ধাম লিখিয়া লাইতে লাগিল, প্রয়োজনীয় উপদেশ দিতে লাগিল। অন্ধকার বাস্ত হঁটিতে kাটিতে, কাজলের মনে একটা বিশ্রী ভাব যেন চাপিয়া বসিত। শীতকালে সন্ধ্যা হয় বিকাল শেষ হইতে না হইতেষ্ট-কলেজ হইতে বাহির হইয়া কাজল দেখিত, বিশাল শহরের উপরে অন্ধকার দুঃস্বপ্নের মত চাপিয়া আসিতেছে। মালতীনগরে বিশেষ পরিবর্তন হয় নাই। কেবল কঁঠালিয়ার কাছে একটা বিরাট মাটি সৈন্যেরা কাটাতারে ঘিবিয়া সেখানে বাইফেল প্র্যাকটিস করে । সাধারণের সেখানে প্রবেশ নিষেধ । সকালে উঠিয়া শোনা যায়, দূর হইতে রাইফেলের আওয়াজ আসিতেছে । সুন্দব সকাল । জানলাব পাশে টগব গাছটায় সকালের রোদব আসিয়া পডিয়াছে, একটা টুনটুনি পাখি বারবার ঘুরিয়া ঘূরিয়া তাতার ডালে আসিয়া বসিতেছে। মিষ্টি আমেজেব ভিতর রাইফেলের শব্দে কাজলের মেজাজ খাবাপ হইয়া যায়। তাহার জীবনের সহিত বন্দুকেবা শব্দ মোটেই খাপ খায় না। একদিন রাস্তায় আদিনাথবাবুর সহিত দেখা হইয়া গেল। সে প্রণাম কবিয়া বলিল-ভালো আছেন। সারা ? আদিনাথবাবু কাজলকে জডাইয়া ধরিলেন, বলিলেন-তুই কেমন আছিস অমিতা ৬ ? তোর চেহারা বড় খারাপ হযে গেছে, অসুখবিসুখ কবেছিল নাকি ? -भ 12 | --তবে এমন চেহারা কেন ? কাজলের মনে হইল আদিনাথবাবু তাহার মনের কথা বুঝিবেন, তিনি *তাহাকে সমাধানের পথ বলিয়া দিতে পরিবেন। কিন্তু বলিতে গিয়৷ দেখিল, জিনিসটা সে সহজে প্রকাশ করিতে পারিতেছে না । জীবনের কোন অথ নাই, এ কথা ভাবিয়া তাতার বয়সী একটি ছেলের রাত্রে ঘুম হইতেছে না, ইহা রীতিমত হাস্যকর । এই কথা ভাবিয়া শরীর খারাপ হওয়া নিঃসন্দেহে অন্যদের কাছে অবিশ্বাস্য। সে বলিল-আমি ঠিক গুছিয়ে বলতে পারছি না। সার । ছোটবেলা থেকে যে পরিবেশে মানুষ হয়েছি, তার সঙ্গে আমার মন যেন আর খাপ খাচ্ছে না । -পরিষ্কার করে বল। --সার, এত দীর্ঘ দিন ধরে বেঁচে থাকার মানে কি ? এত কষ্ট করে। পড়াশুনা করা, জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, জীবনকে ভালবাসা-এর কি অর্থ ? মৃত্যুর পর তো একটা ভয়ানক অন্ধকার আমাদের গ্রাস করে নেবেই। মালতীনগর স্টেশনের লোকের ভিড়ে ব্যাগ হন্তে আদিনাথবাবুর সামনে ... We a