পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৮১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(কািজলের ভায়েরী হইতে ) গতকাল আমাদের একজন অধ্যাপক না-আসায় একটা পিরিয়ড ছুটি পাওয়া গেল। পরমেশ লাইব্রেরীতে বসে পড়ছিল, তাকে না-ডেকে আমি একাই একটু হাটছিলাম রাস্তায় । অন্যমনস্ক ভাবে চলতে চলতে ভেবে দেখলাম, আমার ভেতরে যে দ্বন্দ্বট চলছে সেটা মোটেই আকস্মিক নয়। ছোটবেলা থেকেই ধীরে ধীরে পরিপক্ক হয়ে উঠছিল, হঠাৎ একদিন বেরিয়ে পড়েছে। আমাব সমস্যা অন্যের কাছে অবাস্তব, কিন্তু আমার কাছে অন্ধকারের ভেতর প্রজলন্ত আগুনের মত বাস্তব ও প্রত্যক্ষ । চিন্তার একটা বিশেষ ধাপ পর্যন্ত এসে আটকে গেছি, আমি মৃত্যুকে অতিক্রম করতে পারছি না । হয়তো কেউ তা পারে না । হঠাৎ আবিষ্কার করলাম, চলা বন্ধ করে আমি সামনের তেতলা বাড়ির ছাদের ওপরে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছি। চোখ নামিয়ে নিয়ে ঠিাটিতে শুরু করবো, দেখি রাস্তার ওপারে মিষ্টির দোকানে গোলমাল-রোগ মত একটা লোকের ঘাড ধরে বিশালদেহ দোকানদার ব্যাকানি দিচ্ছে, আর একজন তার কাপড়াচোপড়ের ভেতর হাতন্ডে কি খুঁজজে। রোগ লোকটি হাতজোড় করে কি বলতে গেল-মারল তাকে এক রদ, ছিটকে সে ফুটপাথে গিয়ে পড়ল । ভারি খাবাপ লাগল ব্যাপারটা । হাতজোড করে লোকটা কি বলতে চাইছে, কেউ শুনছে না। রাস্তা পেরিয়ে ওপারে গেলাম-ততক্ষণে সে একহাতে ভর দিয়ে উঠে বসেছে । থমকে গেলাম। আমি ৷ লোকটি রামদাস বৈষ্ণব । রামদাস বৈষ্ণবকে এরা মারছে। রামদাস-কাকা । রামদাস চমকে আমার দিকে তাকাল । কি চেহারা হয়ে গিয়েছে তার } চোখের নিচে গভীর কালি, চুল। লালচে উস্কো খুস্বো। শরীর শুকিয়ে অর্থেক হয়ে গিয়েছে। মারের চোটে এখনও সে অল্প অল্প কঁপিছে। রামদাস আমায় চিনতে পেরেছে। পুরনো দিনের মতই খুশী-খুশী গলায় বলে উঠলো-বাবাজী, তুমি! দোকানদার এবং তার দুই সঙ্গীকে জিজ্ঞাসা করলাম-কি হয়েছে ? আপনারা মারছেন কেন একে ? দোকানদার খিচিয়ে উঠল-মারবে না তো কি সিংহাসনে বসিয়ে পুজো” করবে ? চারআনার জিলিপি খেয়ে এখন বলছে, পয়সা নেই। শালা ইয়ের बॉक ইতর কথা এবং তাদের মুখ-চোখের ইতর ভাব দেখে আমার খারাপ YRae