পাতা:অপূর্ব্ব দেশভ্রমণ - প্রথম ভাগ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8 অবাকৃপুরী দর্শন । বলিয়া গণিত। র্তাহারা বলেন, যে যে ব্যক্তি র্তাহার উপকারীর প্রত্যুপকারে সম্মত হয়েন না, বরং তদ্বিপরীতে র্তাহার অপকারে উদ্যত হন, তিনি অবশ্যই মনুষ্যমাত্রের শক্র হইবেন । অতএব এরূপ মনুষ্যের মৃত্যুই শ্রেয়। আমি এক্ষণে অবাকৃপুরীস্থ ব্যক্তিদিগের আপন আপন সম্ভানগণের প্রতি অণচরণের কথা কিঞ্চিৎ বলিব । তাহারা অন্যান্য জীব জন্তুর ন্যার স্ত্রীপুৰুষে একত্রে বাস করেন এবং সন্তান গণের প্রতি স্বভাবজাত স্নেহ ও করিয়া থাকেন । কিন্তু তাহার স্বয়ং সন্তানগণকে তত্ত্বাবধারণাদি দ্বারা প্রতিপালন করেন না । তাছারা তাহদের বিদ্যালয়ে পাঠাইয়া দেন, তথায় শিক্ষকেরা রীতি নীতি, ভদ্রতা, নম্রতা, বিদ্যা প্রভৃতি সমুদায় শিক্ষা করাইয়া পিতা মাতার নিকট পঠাইয়া দেন। বালক ও বালিকাগণের নিমিত্ত এইরূপ নানাপ্রকার বিদ্যালয় ছিল । কোন কোন শিক্ষক, বালকগণকে বিদ্যা ও সৎস্বভাবে পিতার অনুযায়ী করণে ও তঁtহাদের অভিলাষমত শিক্ষা দানে অতিশয় উপযোগী । আমি প্রথমে বালকবিদ্যালয়ের বিষয় কিঞ্চিৎ বলিব পশ্চাৎ বালিকা বিদ্যালয়ের বিষয়ে প্রবৃত্ত হইব । ধনবান ও মহৎ লোকের পুত্রগণের শিক্ষার নিমিত্ত যে বিদ্যালয় তাহাতে বিদ্বান ও উপযুক্ত শিক্ষক নিযুক্ত থাকিত। তথায় বালকগণের পরিধেয় বস্ত্রাদি ও খাদ্যসামগ্রী সামান্য রকমের প্রদত্ত হইত। শিক্ষকেরা ছাত্র