এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Ry অবতার —তাহার পিছনে দুইজন খানসামা নিশ্চল ও নিস্তব্ধভাবে দণ্ডায়মান— ঠিক্‌ যেন সাক্ষাৎ গার্হস্থ্যের দুই পাষাণ-মূর্ত্তি। অক্টেভ ঘরের সমস্ত খুটিনাটি এক-নজরে দেখিয়া লইল ; পাছে এই সব অপরিচিত নূতন সামগ্রী দেখিয়া তাহার মুখে কখন অনিচ্ছাক্রমেও বিস্ময়ের ভাব প্রকাশ পায়। এমন সময় পাথরের মেঝের উপর হইতে একটা সৰ্ব সৰ্ব শব্দ,—রেশমি-কাপড়ের একটা থস্থস্ শব্দ উঠিল। অক্টেভ পিছন ফিরিয়া দেখিলেন,—কোণ্টেস আসিতেছেন। অক্টেভ বসিলে পর, বন্ধুভাবে অভিবাদনস্বরূপ ছোট-খাটো ইঙ্গিত করিয়া, তিনিও বসিলেন। কোণ্টেস একটা রেশমী পরিচ্ছদ পরিয়াছিলেন । কপালের দুই পাশে রাণীকৃত কেশগুচ্ছ, একটা বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া জরি-জড়ান বেণীর আকারে গ্রীবাদেশে লুটাইয়া পড়িয়াছে। র্তাহার মুখের স্বাভাবিক গোলাপী রং, গত রাত্রির মনের আবেগে ও নিদ্রার ব্যাঘাতে একটু ফ্যাকাশে হইয়া গিয়াছে, তাহার যে চোখ সচরাচর কেমন শাস্ত ও নির্ম্মল —সেই চোখের চারিদিকে ঈষৎ কালিম রেখা পড়িয়াছে। র্তাহার মুখে একটা শ্রান্ত-ক্লান্ত অবসন্ন ঢুলু ঢুলু ভাব লক্ষিত হইতেছে। এইরূপ স্নান আকার ধারণ করায় তার সৌন্দর্য্যচ্ছটা যেন আরও মর্ম্মভেদী হইয়াছিল ; তাহাতে যেন একটু মানবী ভাব আসিয়াছিল ; এখন যেন সামান্ত রমণী হইয়া পড়িয়াছেন ; স্বর্গের পরী পাখা গুটাইয়া উড্ডয়নে বিরত হইয়াছেন। অক্টেভ এইবার একটু সাবধান হইয়াছে, সে তাহার চোখের আগুনকে ঢাকিয়া ও মনের উচ্ছ্বাসকে প্রচ্ছন্ন রাখিয়া একটা ঔদাসীন্তের ভাব ধারণ করিল। জরের ঈষৎ কম্পনের স্তায় স্কন্ধদেশ একটু নাড়াইয় কোণ্টেল তাহার স্বামীর উপর স্থিরদৃষ্টি নিবদ্ধ করিলেন। এখন তিনি অক্টেভকে আপন স্বামী বলিয়াই মানিয়া লইয়াছেন। কেন না রাত্রে যে সৰ ভয়-ভাবন, পূর্ব্বক্ষন, বিভীষিকা উহার মনে জাগির