এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి ఆశి অবতার প্রবেশ করিবে ; কিন্তু এখন দেখিল, এই অজ্ঞাত জীবনের অন্ধিসন্ধি তার জানা নাই ; কেন্ট ওলাফের শরীর ধারণ করিতে গেলে, পূর্ববর্তী সমস্ত ধারণা ও সংস্কার, নিজের ভাষা, শৈশবের সমস্ত স্মৃতি, মানুষের ‘আমি জিনিসটা যেসকল অসংখ্য খুঁটিনাটি দিয়া গঠিত, নিজের অস্তিত্ব যাহা অন্যান্স অস্তিত্বের সহিত বিশেষ সম্বন্ধ-সুত্রে আবদ্ধ—এই সমস্ত বিসর্জন করা আবশ্বক ; এবং এই সমস্তের জন্য ডাক্তার বালথাজার শেরবোনোর বুজরুগি যথেষ্ট নহে। এ কি বিড়ম্বন ! এই স্বর্গের ভিতর প্রবেশ করিলাম, অথচ উহার দ্বারদেশ দূর হইতেও দেখা আমার পক্ষে এক প্রকার ধৃষ্টত ! কোণ্টেসের সহিত এক গৃহে বাস করিব, তাহাকে দেখিব, তাহার সহিত কথা কহিব, অথচ তার সতীত্বের লজ্জা ভাঙ্গিতে পারিব না, এবং প্রতি মুহূর্ত্তে এক-একটা মুঢ়তার কাজ করিয়া নিজমূর্ত্তি প্রকাশ করিয়া ফেলিব ! কোণ্টেস আমাকে কখনই ভালবাসিবে না - ইহা আমার অখণ্ডনীয় অদৃষ্টের লিপি ৷ তথাপি মানবগর্ব্বকে ধূলায় লুষ্ঠিত করিয়া আমি যার-পর-নাই ত্যাগ-স্বীকার করিয়াছি। আমি নিজের আমি’কে বিসর্জন দিয়া, অপরের শরীর ধারণ করিয়া অন্যের প্রাপ্য আদর-যত্ন দাবী করিতে সন্মত হইয়াছি।” অক্টেভের মনে-মনে এইরূপ স্বগতোক্তি চলিতেছিল। এমন সময় একজন সহিস্ আসিয়া মাথা নোয়াইরা গভীর ভক্তিসহকারে জিজ্ঞাসা করিল —“আজ কোন ঘোড়াটা হুজুরকে এনে দেখাব ?” প্রভু উত্তর করিতেছেন না দেখিয়া,–পাছে ধৃষ্টত প্রকাশ পায়, ভয়ে-ভয়ে–অতি মৃদ্ধস্বরে ওগুস্থ করিয়া সহিস আবার বলিল— ‘ভুলটুর’কে আনব না রোস্তম'কে আনব ? আট দিন ওদের সোয়ারি ब्रि नेि ।” এইবার অক্টেভ উত্তর করিলেন—‘রোস্তম'কে ।