এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર ' * অবতার .* 灣 。 হইয়া গিয়াছিল, তাহা যেন কোন রহস্তময় অদৃষ্ঠ হস্তের দ্বারা আবার চালিত হইত। অক্টেভের মনে হইত যেন সে কোন স্বপ্ন হইতে জাগিয় উঠিয়াছে। ব্যাধিনাশক উৎস-জল-সেবনের জন্য উৎস-দেশে তা’কে পাঠান হইল । ,কিন্তু তাঁহাতেও কোন উপকার হইল না । সমুদ্র পথে নেপলস্ নগরে পাঠান হইল, তাহাতেও কোন ফল হইল না । বে সুন্দর স্বর্য্যের এন্ত খ্যাতি ও গৌরব, তাহার নিকট সেই স্বর্য্য অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাধি-স্তান বলিয়া মনে হইল । যে বীজুড়ের কালো পাথার উপর “বিষণ্ণতা” যেন স্পষ্ট লেখা থাকে, সেই বাড়ড়ের ধূলিময় পাখা এই উজ্জ্বল-নীল আকাশের উপর যেন চাবুক হানিতেছে এবং বাহুড়েরাও মাথার উপর লেরিপাক দিয়া উড়িয়া বেড়াইতেছে । যেখানে কুণ্ঠধ্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তির নগ্নগাঞ্জে স্বর্য্যকর সেবন করিয়া তাম্রবর্ণ হইয়া গিয়াছে সেই মের্গেলিনের জাহাজঘাটে আসিয়া তাহার রক্ত যেন জমিয়া গেল । কাজেই অক্টেভ আবার তাহার বাসাবাড়ীতে ফিরিয়া আসিল ; আবার সাবেক অভ্যাস অনুসারে জীবন-যাত্রা নির্ব্বাহ করিতে লাগিল ! ছেলে-ছোকরার ঘর যতটা সজ্জিত হইতে পারে, সেই হিসাবে ঘরগুল আসবাব-পত্রে মন্দ সজ্জিত নহে । কিন্তু ঘরে যে বাস করে, তার চেহারা ও চিন্তা-প্রবাহ ক্রমশঃ যেন সেই ঘরেতেও সংক্রামিত হয় । অক্টেভের বাসা-বাড়ী অক্টেভেরই মত একটু বিষধ হইয় পড়িয়াছে। পর্দার বুটিদার গোলাপী রঙের কাপড়ের রং জলিয়া গিয়া ফ্যাকাসে হক্টর পড়িয়ছে ; তাহার মধ্য দিয়া এখন একটু সাদাটে রঙের আলো অসে মাত্র । বড় বড় ফুলের তোড়া শুকাইয়া গিয়াছে । ওস্তাদের হাতের ভাল ভাল ছবি ফুেমে আবদ্ধ-সেই ফ্রেমের সোনালি ধার ধূলায় ক্রমশঃ “লাল ইয়া গিয়াছে ; আঁখি-কুঞ্জুের আগুন অবহেলাবশত: নিভিয়া গিয়াছে,