এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার ১২৩ হইয়াছেন। এই গরম বাতাসে ডাক্তারের ভারতবর্ষ মনে পড়িল ; এবং তিনি বেশ সহজে ও আরামে নিশ্বাস গ্রহণ করিতে লাগিলেন। ডাক্তারের ন্যায় কৌন্ট ও অক্টেভ ত ত্রিশ বৎসর ধরিয়া গ্রীষ্মমণ্ডলের প্রচণ্ড স্বর্ঘ্যের উত্তাপে অভ্যস্ত হন নাই, সুতরাং তাদের প্রায় শ্বাসরোধ হইবার উপক্রম হইল। বিষ্ণুর অবতারের স্বীয় ফ্রেমের মধ্যে দস্তবিকাশ করিয়া হাসিতেছেন, নীলকণ্ঠ শিব তার পাদ-বেদিকার উপরে দণ্ডায়মান হইয়া অট্টহাস্ত করিতেছেন । কালী তার শোণিতাক্ত রসনা বহির করিয়া আছেন। নৃমুণ্ডমালার আন্দোলনে যেন ঠকাঠক্‌ শব্দ শুনা যাইতেছে। ডাক্তারের এই আবাস-গৃহ একটা রহস্তময় ঐন্দ্রজালিক ভাব ধারণ করিয়াছিল। প্রথম রূপান্তর-প্রক্রিয়া যে ঘরে হইয়াছিল, ডাক্তার শের লোনো সেই ঘরে সম্মোহন-পাত্রদ্বয়কে লইয়া গেলেন । তিনি তড়িৎবন্থের কাচের চাকৃতিটা ঘুরাইগেন, সম্মোহন-বালতির লোহার তা হল নাড়িলেন : গরম বাভাসের মুখ খুলিয়া দিলেন, তাহাতে ঘরের উত্তাপ শীঘ্রই বাড়িয়া গেল। ভূৰ্জপত্রে লেখা দুই তিনটা মন্ত্র পাঠ করিলেন ; এবং কিযুৎক্ষণ পরে, কোন্ট ও অক্টেভকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন ঃ-- "এখন আমি তোমাদের কাজের জন্ত প্রস্তুত । কি বল, আরস্ত করব কি ?” ডাক্তার যখন এই কথা বলিতেছিলেন, কেণ্টি উৎকণ্ঠিত হষ্টয়া এইরূপ ভাবিতেছিলেন :– “আমি যখন ঘুমিয়ে পড়ব, এই বুড়া যাদুকর না জানি আমার আত্মাকে নিয়ে কি করবে। বানর-মুখে এই ডাক্তারটা সাক্ষাৎ শয়তান হতে পারে না কি ? আমার,আত্মাকে আমার শরীরে ফিরিয়ে দেবে,—না, ওর সঙ্গে আমাকে নরকে নিয়ে যাবে? আমার ব্যক্তিত্ব ফিরিয়ে দেওয়া--এটাও একটা নূতন ফাদ নয় ত ? কি ওর উদ্দেশ্য জানি না, কিন্তু কোন বুজরুগি করবার জন্য এই সব শয়তানি আয়োজন্তু