এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার \O ছাইয়ের গাদা হইতে ধেীয়া উঠিতেছে। ঝিনুকখচিত ও তাম্রমণ্ডিত দেয়াল-ঘড়ীর শোভা সমস্তই বিলুপ্ত হইয়াছে ; আছে মাত্র সেই টক্‌ টক্‌ শব্দ, যে শব্দ রোগীর কামরায় রোগীর র্যাপ্য সময় মৃদুস্বরে জানাইয়া দেয়। দরজাগুলার কপাটগুলা নিঃশব্দে বন্ধ হয় ; দরজার পা-পোষের উপর কচিৎ কথন কোন আগন্তুক অতিধীরে পাদক্ষেপ করে। এই, ঠাগু ও অন্ধকার ঘরগুলায় ঢুকিবামাত্র আনন্দের হাসি ধেন আপনাআপনি আটকিয়া যায়; ঠাণ্ডা ও অন্ধকার হইলেও বরগুলায় আধুনিক ধরণের আসলাবের অপ্রতুল নাই। অক্টেভের ভূত, একটা পালকের ঝাড় বগলে করিয়া হাতে একটা বাৰ্বকোষ লইয়া ঘরের মধ্যে ছায়ার মত দুরিয়া বেড়ায় ; স্থানটির স্বাভাবিক বিবগ্নতা-প্রযুক্ত পরিশেষে সেই ভৃত্যও অজ্ঞাতসারে তাহার বাচালতা তারাইয়াছে। দেয়ালে মুষ্টিযুদ্ধের সরঞ্জাম সকল টাঙ্গানো রহিয়াছে, কিন্তু দেখিলেই বুঝা যায়, বহুদিন যাপ২ ত{হাতে হস্ত স্পর্শ হয় নাই । বইগুলা হস্তে লইয়া আবার ইতস্ততঃ ছড়াহয় ফেলা হইয়াছে—এই সকল নিক্ষিপ্ত কেতাব আসবাবের উপরেই গড়াগড়ি ঘাইতেছে। একটা পত্রলেখা আরস্ত হইয়াছে, কত মাসে যে তার শেষ হইবে, বলা যায় না ; চিঠির কাগজখানায় হলদে রং ধরিয়াছে —উহা আফিস্ ডেকৃসের উপর নীরব তৎসনার মত বিরাজ করিতেছে। ঘরে লোক থাকিলেও ঘরগুলা মরুভূমির মত মনে হইতেছে। উহার মধ্যে যেন জীবন নাই। কবরের মুখ খুলিয়া দিলে বেরূপ হয়, সেইরূপ কেহ ঘরে প্রবেশ করিলে তাহার মুখের উপর একটা ঠাণ্ড বাতাসের ঝাপটা আসিদ্ধ লাগে। এই বিষাদময়-আবাসগৃহে কোন রমণ এ পর্যন্ত পদনিক্ষেপ করে নাই। অক্টেভ এইখানেই বেশ আরামে বাস করিতেছে ; এমন আরাম সে তার কোথাও পায় না ; এই নিস্তব্ধতা, এই বিষণ্ণতা, এই এলো-মেলে’