এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার >} শীত করে, কখন কথন আমার ভিতরে যেন একটা মহা নিস্তব্ধতা আসে, মনে হয় যেন আমার হৃৎপিণ্ডটা আর স্পন্দন করচে না ; এবং যেন কোন অজ্ঞাত কারণে আমার শরীরের ভিতরকার যন্ত্রগুলা রুদ্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থাটা মরণ থেকে যে বিশেষ তফাৎ তা আমার মনে হয় না-যদি কিছু তফাৎ থাকে, তা সে মৃতেরাই হয়ত বলতে পারে।” ডাক্তার আবার বলিতে আরম্ভ করিলেন :-”আপনার এই রোগ সম্পূর্ণ নৈতিক, এ রোগ প্রায়ই দেখা যায়। চিস্তা এমন একটা শক্তি বা প্রসিক আসিডের মত, -গাইড-বোতল-নিঃস্থত লিঙ্গের মতই মারাত্মক ;– যদিও চিন্তাজনিত ক্ষতিগুলা সচরাচর বিজ্ঞান-ব্যবহৃত বিশ্লেষণের দ্বারা ধরা যায় না। আমাকে বলুন দিকি, কোন দুঃখের শেলে আপনার যকৃৎ বিন্ধ হয়েছে ? কোন গুপ্ত উচ্চাভিলাষের কোন উচ্চ শিখর হতে আপনার এই দারুণ পতন হয়েছে ? কেন নৈরাপ্তের তিক্ত তৃণ আপনি অলিরাম রোমন্থন করচেন ? প্রত্নত্বের তৃষায় আপনি কি কষ্ট পাচেন ? মানুষের যা সাধাতাত এরূপ কোন সংকল্প আপনি কি স্বেচ্ছ্রাক্রমে ত্যাগ করেছেন ?—কিন্তু ত্যাগের বয়স আপনার এথনো ত আসে নি। কোনও রমণ কি আপনাকে প্রবঞ্চনা করেছে ?” অক্টেভ উত্তর করিলেন :–“না, ডাক্তার, সে সৌভাগ্যও আমার ঘটে নাই ।” ডাক্তার বললেন -“বাই বলুন না কেন, আপনার ঐ নিম্প্রভ চোখের মধ্যে, আপনার শরীরের নিরুৎসাহ গতিভঙ্গির মধ্যে, আপনার কণ্ঠস্বরের চাপা আওয়াজের মধ্যে,- সেক্সপিয়ারের একটা নাটকের নাম এমন স্পষ্টরূপে পড়তে পরিচি, যেন ঐ নামটি মরক্কে-চর্ম্মে বাধানে নাট্য-গ্রন্থের পুষ্ঠে স্বর্ণীক্ষরে লেখা রয়েছে ।” —“নাটকটির নাম কি ? সেক্সপিয়ারের কোঁ নাটকটি নাজানি '