এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ অবতার উচ্ছাস প্রকাশ করিবার পর মনে হইত, এইবার বুঝি আমার রাণী স্বর্গ হইতে আমার নিকটে আসিয়া আবিভূত হইয়াছেন ; তখন দুই বাহু দিয়া কতবার তাকে আমার বক্ষের উপর আটকাইয়া রাখিতে চেষ্ট্র করিয়াছি । “কোণ্টে আমার মনকে এতটা অধিকার করিয়া বসিয়াছিলেন যে, 'প্রাস্কোভি লাবিন্ধা’ এই নামটি আমি মন্ত্রের মত দিবারাত্র জপ করিতাম। এই নামে যে কি অপূর্ব্ব সুধা আছে, তাহ বাক্যে বর্ণনা করা যায় না। জপ করিবার সময় প্রাস্কোভি লাবিন্‌স্কা’ এই নামটি কখন বা মুক্ত দিয়া, কখনও বা ধীরে ধীরে পুষ্পমালার আকারে গাথিতাম, কখন বা ভক্তসুলভ বাক্য-প্রচুর অসংযত ভাষায় ঐ নাম তাড়াতাড়ি উচ্চারণ করিতাম। আবার কখন কখন উৎকৃষ্ট কাগজের উপর, নানাপ্রকার ছাদের বর্ণের রেখা অলঙ্কারে ভূষিত করিয়া তাহার নাম সুন্দর করিয়া লিখিতাম, তারপর ঐ লিখিত নামের উপর বার বার আমার লেখনী বুলাইতাম । কোণ্টেসের সহিত আবার যতক্ষণ না সাক্ষাৎ হইত, ততক্ষণ এই সুদীর্ঘ বিরহ-কাল এইরূপেই কাটাইতাম । আমি পুস্তকপাঠে কিংবা কোন কাজে মনোনিবেশ করিতে পরিতাম না। প্রাস্কোভি ছড়ি আর আমার কোন বিষয়েই ঔৎসুক্য ছিল না, এমন কি দেশ হইতে যে চিঠি পত্র আসিত, তাহ না খুলিয়াই ফেলিয় রাখিতাম। অনেকবার এই অবস্থা হইতে বাহির হইবার জন্ত চেষ্টা করিয়াছি, কিন্তু পার নাই । আমি সম্পূর্ণরূপে আত্মসমপণ করিয়াছিলাম, ভালবাসিয়াই তুষ্ট ছিলাম, ভালবাসার কোন প্রতিদান চাহি নাই, শুধু তার গোলাপ-রক্তিম অঙ্গুলিপ্রান্ত, আমার ওষ্টযুগল আলগোচে যদি একটিবার চুম্বন করিতে পারে, ইহাই আমার চূড়ান্ত বাসন ও স্বপ্নের জিনিস ছিল, ইহার অধিক আশা করিতে আমি সাহসী হই নাই। মধ্যযুগে ভক্তের ম্যাডোনার নিকট