এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার २S' নতজানু হইয়া যেরূপ একান্তমনে ভক্তিভরে পূজা করিত, তাহা অপেক্ষ আমার এই পূজা-অৰ্চনা কোন অংশেই কম ছিল না।” ডাক্তার শেরবোনো, অক্টেভের কথা খুব মনোযোগের সহিত শুনিন্তেছিলেন। কেন না, তার নিকট অক্টেভের এই আত্ম-কাহিনী শুধু একটা রোম্যাটিক গল্প নহে। অক্টেভের কথার বিরাম হইলে, ডাক্তার মনে মনে এইরূপ ভাবিতে ছিলেন, “যা দেখছি, এ-তো স্পষ্ট প্রেম-বিকারের লক্ষণ; এ এক অদ্ভুত রোগ, কেবল একবার মাত্র এই রকম রোগ আমার হাতে এসেছিল ; চন্দননগরে এক ডোম-রমণী কোন ব্রাহ্মণের প্রেমে পড়ে, বেচারী সেই প্রেম-রোগেই মারা যায় ; কিন্তু সে ছিল অসভ্য বুনো, আর ইনি হচ্চেন সভ্যজাতীয় লোক, আমি নিশ্চয়ই একে ভাল করতে পারব।” এই অলান্তর চিন্তাটা থামিয়া গেলে, ডাক্তার হাতের ইসারায় অক্টে ভকে আবীর আত্ম-কাহিনী আবস্ত করিতে আদেশ করিলেন । তার পর পা ও হাটু দুমড়াইয়া, হাটুর উপর চিবুক রাখিয়া, ফড়িং-এর মত পা মেলিয়া ডাক্তার অবহিত হইয়া শুনিতে লাগিলেন । যদিও এই ভালে বস আমাদের পক্ষে অসাধা, কিন্তু মনে হয়, বসিবার এই ভঙ্গীই ডাক্তারের লেশ আভ্যস্ত । অক্টেভ আবার বলিতে আরম্ভ করিল ;–“ আমার এই গুপ্ত মনোবেদনার খুটিনাটি বর্ণনা করিয়া আর আপনাকে বিরক্ত করিব না। একদিন, কৌন্টেসের সহিত সাক্ষাৎ করিবার স্কদমা বাসনা দমন করিতে ন পারিয়া, আমি যে সময়ে সচরাচর তাহার সহিত দেখা করিতে যাইতাম, তাহার কিছু আগেই গেলাম ; সে সময়ে দিনট ঝোড়ো ও বাষ্পভরাক্রান্ত ছিল । আমি রাণীকে তার বৈঠকখানায় দেখিতে পাইলাম না। পাতলা পাতলা থামে পরিধৃত দ্বার-প্রকোষ্ঠে তিনি উপবিষ্ট ছিলেন, উহার সম্মুখেই একটা অলিন্দ ; এই অলিদের উপর.