এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ অবতার এবং ফিরিয়া যাইবার সময় বিষঃচিত্তে মনে করিবে, যেন তাহার সমস্ত সুখ-স্বপ্ন ঐ উদ্যান-প্রাচীরের পশ্চাতেই প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে ? এই উষ্ঠানের সঙ্কীর্ণ প্রবেশ-পথের দুইধারে বড় বড় শিলাস্তপের প্রাচীর । অসমান অদ্ভূত আকার দেখিয়াই যেন ঐ সকল শিলাখণ্ড বাছিয়া বাছিয়া ঐখানে স্থাপিত হইয়াছে। এই আবড়ো খাব ড়ো বেষ্টনের মধ্যে স্বরম একটি হরিৎ দৃশু-পট যেন আবদ্ধ রহিয়াছে। এই শৈল-প্রাচীরের ফঁাকে ফঁাকে বিবিধ পার্ব্বত্য-বৃক্ষ অবস্থিত। নানা জাতীয় লতা প্রাচীরের গা বাহিয়া উঠিয়া প্রাচীরকে আচ্ছন্ন করিয়াছে। ইহাতে সভ্যতার রুত্রিম উদ্যান অপেক্ষা অযত্নসস্তৃত স্বাভাবিক অরণোর ভাব ধারণ করিয়াছে । শৈলস্তুপের একটু পশ্চাতে নিবিড় পত্র-পল্লবে আচ্ছন্ন কতকগুলি সুভঙ্গিম-তরু-নিকুঞ্জ । তরুকুঞ্জের পর হরিৎ-স্যামল শাদ্বলভূমি প্রসারিত, মধূমল অপেক্ষাও পেলব—যেন গালিচ বিছানো রহিয়াছে—যেন উহা চোখে দেখিবারই জিনিস–যেন উহাতে পায়ের ভর সহেন । মুড়িপথটি চালনী-ছক স্বপ্ন বালিতে অfচ্ছাদিত, পাছে, ভ্রমণকালে উচ্চকুলো বা সুন্দরাদিগের সুকুমার পদ-পল্লব কাকরবিদ্ধ হইয়া ব্যথিত হয়। ঐ বালির উপর বরললনাদের সুকুমার পদক্ষেপের ছাপ মুদ্রিত রহিয়াছে। বালু-পথটি হলদে ফিতার মত এই হরিৎ পরিসরের চারিদিকে ঘুরিয়া গিয়াছে। শাম্বল-খণ্ডের প্রান্তদেশে, গুল্মাচ্ছন্ন জমির উপর গুচ্ছ গুচ্ছ টক্‌টকে জিরানিয়ম ফুলের যেন আতস-বাজি জ্বলিয়া উঠিয়াছে। এই সমস্ত হরিৎ দৃষ্ঠের শেষে একটি অট্টালিকা। সম্মুখে মুগঠন সুঠাম পাতলা পাতলা থাম ছাদকে ধরিয়া আছে। ছাদের প্রত্যেক কোণে মর্ম্মর-প্রস্তর-মূর্ত্তি পুঞ্জীকৃত। মনে হয় যেন কোন ক্রেরপতি খেয়াল-বশে গ্রীশদেশ • হুইতে একটি দেব-মন্দির উঠাইয়া আনিয়াছে। অট্টালিকার দুইপাশ