এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 অবতার অনাবশুক অপ্রাসঙ্গিক কথা নয়—মূল বিষয়ের সঙ্গে তার বিলক্ষণ যোগ আছে । পরীক্ষাগারের মাবেল-মেঝের উপর বসে, শব-দেহের উপর ছুরি চালিয়ে পরীক্ষা করে করে ক্লান্ত হয়েছি, তার থেকে কোন সাড়া পাই নি , জীবনকে খুঁজতে গিয়ে কেবল মৃত্যুকেই দেখতে পেয়েছি! তখন একটা মতলব আমার মনে হল। মৎলবটা খুব দুঃসাহসীর মত বলতে হবে । এ দুঃসাহস অগ্নিহরণ-উদেশে প্রমেথিউসের স্বৰ্গ-আক্রমণের মত দুঃসাহস । মনে করলাম, আমি আত্মাকে হঠাৎ পাকৃড়াও করব, তার পর তাকে বিশ্লেষণ করব, শবচ্ছেদের মত খণ্ড খণ্ড করে দেখব। আমি কারণের উদ্দেশে কার্যাকে ত্যাগ করলাম। জড়বিজ্ঞানের উপর আমার গভীর অবজ্ঞা হল-কেন না, তার থেকে কেবল মৃত্যুরই প্রমাণ পাওয়া যায়। আমার মনে হল, কতকগুলো আকারের উপর পরীক্ষা করা, কতকগুলো বিচ্ছিন্ন উৎপন্ন পরমাণু-রাশির উপর পরীক্ষা করা—-এ তো স্থল প্রত্যক্ষবাদের কাজ। যে সকল বন্ধনে দেহাবরণটা আত্মার সঙ্গে আবদ্ধ রয়েছে, চুম্বক শক্তির যোগে সেই সব বন্ধন শিথিল করবার জন্ত আমি চেষ্টা করতে লাগলাম । এই পরীক্ষণকার্য্যে ‘মেস্মের প্রভৃতি মোহিনীশক্তির আবিষ্কারকদেরও ছাড়িয়ে উঠলাম। খুব আশ্চর্য ফল পেলাম। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হলাম না। মুগীরোগ, সশরীরে স্বপ্নভ্রমণ, দূরদর্শন, “দশা-পাওয়া” অবস্থায় চিত্তের উজ্জ্বলতা, —এই সব ব্যাপার আমি স্বেচ্ছাক্রমে উৎপাদন করতে পারতাম। এই সব ব্যাপার ইতর লোকের ধুদ্ধির অগম্য—কিন্তু আমার কাছে খুবই সোজা । আমি আরও উচ্চে উঠলাম। যুরোপীয় মঠের যে সব মহাপুরুষ ধ্যান-ধারণা সমাধির দ্বারা আশ্চর্য্য বিভূতি অর্জন করে, &তার দ্বারা নানাপ্রকার অলৌকিক কাণ্ড করতেন, আমি তাও করতে