এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার se তেমনি অপেক্ষা করে থেকে সময় বুঝে তীক্ষ দৃষ্টির প্রভাবে, কোন আত্মার রহস্ত বট করে ধরে ফেলতে পারি ; সেই আত্মাট তথন সব কথা খুলে আমাকে বলে ;—তাতেই আমার কাজ হাসিল হয়, আমি তার কতকগুলি কথা মনে করে রাখি। আত্মাই সব, জড়, জগৎ শুধু একটা বাহ আবির্ভাব । বিশ্বজগৎ সম্ভবত ঈশ্বরের একট। স্বপ্নমাত্র অথবা অসীমের মধ্যে, শব্দ-ব্রহ্ম হতে নিঃস্থত একটা বহিবিকাশ মাত্র। আমি ইচ্ছামত শরীরকে চীরবস্ত্রের মত সঙ্কুচিত করতে পারি, জীবনীশক্তিকে আটকাতে পারি বা দ্রুত চালিয়ে দিতে পারি, আমি আকাশকে বিলোপ করতে পারি, ক্লোরোফরম্ প্রভৃতির সাহাবা না নিয়েও কষ্টকে নষ্ট করতে পারি। মানসিক তড়িৎ এই যে ইচ্ছাশক্তিতে সজ্জিত হয়ে আমি জীবন দান করি, কাউকে বা বজ্রাঘাতে ধরাশায়ী করি। আমার চক্ষের সমক্ষে কোনও জিনিসই অস্বচ্ছ নয় ; আমি চিন্তার রশ্মিগুলি স্পষ্ট দেখতে পাই । যেমন বেলোয়ারি কাচের কলমের মধ্য দিয়ে বিশ্লিষ্ট সূর্য্যালোকের বর্ণচ্চটা পর্দার উপর প্রক্ষিপ্ত হয়, সেইরূপ আমার অদৃশ্ব বেলোয়ারি কলম দিয়ে আমি ঐ চিন্তা-রশ্মিগুলি আমার সাদা মস্তিষ্ক-পটের উপর ইচ্ছাশক্তির বলে প্রতিফলিত করিতে পারি। কিন্তু ভারতের সিদ্ধপুরুষ যোগীরা যাহা করেন তাহার কাছে এ সব কিছুই নয়। আমরা যুরোপের লোক,—আমরা অত্যন্ত লঘুপ্রকৃতি, অত্যন্ত বিক্ষিপ্তচিত্ত, অত্যন্ত অসার ; আমাদের কাদা-মাটির কারাগারটি আমাদের নিকট এতই প্রিয় যে, আমরা অনন্ত ও অসীমের বৃহৎ জানলাগুলো খুলতে পারি নে ! তথাপি আমার Jরীক্ষা হতে আমি কতকগুলি আশ্চর্যা ফল পেয়েছি, তা দেখলে আপনি নিজেই বিচার করতে পারবেন * o এই কথা বলিয়৷ ডাক্তার শেরবে:নে একট'বড় দরজায় টাঙ্গানে,