এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতার අද්) ডাক্তার তার খামলবর্ণ শুষ্ক দুই হাত খুব তাড়াতাড়ি ঘসাঘসি করিয়া বলিয়া উঠিলেন –

  • বেশ বাবা, বেশ । কোন বাধাতেই পিছপাও হয় না-তোমার এই প্রেমের আবেগ দেখে আমি তুষ্ট হলাম। এ জগতে দুইটি মাত্র জিনিস আছে ; আবেগ আর ইচ্ছাশক্তি। তুমি যদি সুখী না হও সে নিশ্চয়ই আমার দোষ নয়। গুরুদেব ব্রহ্মলেীগম্! অপ্সরাসঙ্গীত-মুখরিত ইন্দ্রলোক হতে তুমি ত সব দেখছ—তোমার মৃত কঙ্কাল পরিত্যাগ করবার সময় আমার কাণে যে মহামন্ত্র উচ্চারণ করেছিলে, তা কি আমি বিস্তৃত হয়েছি ? না, সেই মন্ত্র, সেই সব মুদ্রাভঙ্গী আমার বেশ মনে আছে। তবে এখন কার্য আরম্ভ হোক ! এইবার আমাদের কটাহে এক অপূর্ব্ব রান্না চড়বে—ম্যাকবেথের সেই ডাকিনীদের মত কেবল তাদের সেই নীচ ধরণের ডাকিনী-মন্ত্র থাকবে না। আমার সম্মুখে এই আরাম-কেদারায় তুমি বোসো। আমার শক্তিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে আত্মসমর্পণ কর । বেশ ! আমার চোখের উপর চোখ রাখো, আমার হাতে হাত রাখ। এখনি মন্থের কাজ আরম্ভ হয়েছে । আকাশ ও কালের ধারণা লুপ্ত হচ্চে, অহং জ্ঞান ও আত্মচৈতন্য অপনীত হচ্চে, চোখের পাতা নেমে এসেছে ; মাংসপেশী মস্তিষ্কের কথা আর শুনচে না,— শিথিল হয়ে গেছে। চিন্তা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছে। যে সকল স্বহ্ম বন্ধনে আত্মা শরীরের সহিত আবদ্ধ সেই সব বন্ধনের গ্রন্থি ছিন্ন হয়েছে। দশ হাজার বৎসর পূর্ব্বে ব্রহ্মা স্বর্ণ-অণ্ডের মধ্যে স্বপ্ন দেখছিলেন, সেই ব্রহ্মা এখন আর বহিজগৎ হতে পৃথক নন। "বাম্পের দ্বারা তাকে পরিষিক্ত করা যাক, রশ্মির দ্বারা তাকে স্নান করিয়ে দেওয়া याद् o

ডাক্তার মধ্যে মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে যখন এই সকল কথা বিড় বড় করিয়া বলিয়া যাইতেছিলেন, তখনও তার হাতের “ঝাড়া দেওয়া” এক