এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ον অবতীর সেই মস্তিষ্কের মধ্যে অপরিচিত ধারণাদির কতকটা রেখাচিহ্ন এখনো রহিয়া গিয়াছে। অক্টেভ-লাবিন্‌স্কির বিস্ময়টা বেশ-একটু উপভোগ করিয়া ডাক্তার বলিলেন ;–আচ্ছ, এখন তোমার এই নতুন আবাসটা কেমন লাগচে ? .যার মত সুন্দরী এই ভূমণ্ডলে বিরল সেই সুন্দরীর পতি বীরপুরুষ কৌন্টের দেহ-মন্দিরে তুমি বেশ গট হয়ে বসে নিয়েছ ত? তোমার বসংবাড়ীর সেই বিষাদময় ঘরে আমি যখন তোমাকে প্রথম দেখি তখন ত তুমি মৃত্যু কামনা করছিলে! এখন কেণ্টি লাবিন্‌স্কির প্রাসাদের সমস্ত দ্বারই তোমার সম্মুখে উদ্‌ঘাটত ; রাণী প্রাস্কোভির কাছে তোমার প্রেম জানাতে গিয়ে তথন তুমি তার কাছ থেকে মুখ-থাবড়া পেয়েছিলে, এখন আর তোমার সে ভয় নেই। এখন আর বোধ হয় তুমি মৃত্যু-ইচ্ছা করবে না। এই যে বানর-মুথে বৃদ্ধ বালথাজার শেরবোনোকে দেখ ছ—এখন তুমি বেশ বুঝতেই পরিচ, তার অসাধ্য কিছুই নেই-আবার তোমার আত্মাকে অন্ত শরীরে প্রবেশ করিয়ে দিতে পারে—তার ঝুলিতে এখনো নানা তুক্‌-তাকের জিনিস আছে।” অক্টেভ-লাবিন্‌স্কি উত্তর করিলেন—“ডাক্তার, আপনার শক্তিসমর্থ্য দেবতার মত—অন্ততঃ দানবের মত । আপনার এই শক্তি, দৈবী কিংবা দানবী শক্তি না হয়ে যায় না ।” —“না বাবা, সে ভয় কোরে,না, ওর ভিতরে ভূতুড়ে বা দানব কাও কিছুই নেই। তোমার মুক্তির পথে কোন বিঘ্ন হবে ন – তোমার সঙ্গে চুক্তি করে সেই চুক্তি-পত্রে লাল কলিতে তোমাকে সই করতে আমি বলুচিনে। এই সব যা ঘটলে, তার চেয়ে সহজ জিনিস আর কিছুই হতে পারে না। যে শব্দ ব্রহ্ম আলোকের স্বষ্টি করেছেন,