এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ অবতার —“না, আমাকে একলা থাকৃতে দেও ; কিন্তু চলে যাবার আগে,— বড় আয়নার কাছে যে সব লোহার মশাল-বাতি আছে সেগুলো জালিয়ে দিয়ে যেও ।” —“কিন্তু এত বেশী আলোতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত হবে বলে’ আপনার মনে হচ্চে না কি ?” —“কিছুমাত্র না ; তাছাড়া এখনো আমার ঘুম পায় নি।” —“আমি শুতে যাব না, যদি আপনার কিছু দরকার হয়, ঘণ্টা বাজালেই আমি ছুটে আসব।” চাকর, কোণ্টের পা ধুবর্ণ ও বিশ্লিষ্ট মুখশ্রী দেখিয়া মনে মনে ভাত হইয়াছিল। চাকর বাতিগুলা জ্বালাইয়া প্রস্থান করিলে, কেন্ট আয়নার কাছে ছুটিয়া আসিলেন এবং আলোক-উদ্ভাসিত এই পুরু ও বিশুদ্ধ আশির ভিতর দিয়া দেখিলেন :–একটি তরুণ মুখ, মৃদু ও বিষঃ, মাথায় প্রচুর কালে চুল, নীলবর্ণ চোখের তারা রেশমের মত মোলয়েম স্যামল শ্মশ্র— তখন বিস্মিত হইয়া বলিয়া উঠিলেন,-“একি ! এ মুগুট ত আমার নয় ।” তিনি প্রথমে বিশ্বাস করিতে চেষ্টা করিলেন, হয়তো কোন দুষ্ট তামাসাবীজ লোক তাম্র ও ঝিনুক-খচিত আয়নার তির্যাক্ কিনারার পিছনে র্তার একটা মুখস্ রাখিয়া দিয়াছে। তিনি পিছনে হাত দিয়া দেখিলেন, হাতে কিছুই ঠেীকল না। সেখানে কেহই ছিল না। আপনার হাত টিপিয়া টিপিয়া দেখিলেন,—র্তাহার হাত অপেক্ষ সরু, লম্ব, ও শিরাসমন্বিত ; অনামিকা অঙ্গুলিতে একটা বড় সোণার আংটি, আংটির মণির উপর কুলচিহ্ন খোদিত। কেণ্টি এই আংটির অধিকারী কখনই ছিলেন না। র্তাহার পকেট হাতড়াইয়া একটা ছোট পত্র পেটিকা পাইলেন,4-তাহার ভিতর কতকগুলি সাক্ষাৎ করিবার