এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧ના অবতার সায় দিবে না। কি উজ্জ্বল দিবালোকে, কি অস্পষ্ট দীপালোকে, ঐ আশিতে ত একই মূর্ত্তি প্রতিবিম্বিত হইতেছে! বাড়ীর কোথায় কি আছে কেন্ট দেখিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। তারপর টেবিলের দেরাজ খুলিলেন। একটা দেরাজের মধ্যে দেখিতে পাইলেন,—ভূসম্পত্তির কতকগুলা দলিল, দশ হাজার টাকার কোম্পানীর কাগজ ; আর এক দেরাজের মধ্যে রুষীয় চামড়ার পত্র-পেটিকা— একটা সাঙ্কেতিক তালা দিয়া তাহ বন্ধ রহিয়াছে। চাকর ঘরে প্রবেশ করিয়া জানাইয়া দিল য়্যালফ্রেড সাহেব আসিয়াছেন। চাকরের উত্তর আনিবার অপেক্ষা না করিয়াই অক্টেভের পুরাতন বন্ধু, ঘনিষ্ঠতার ভাবে ঘরের ভিতর হুড়মুড় করিয়া প্রবেশ করিল। আগন্তুক যুবাপুরুষ, মুখে একটা সরল দিল-খোলা ভাব । যুবক কেন্টকে বলিল — “এই যে অক্টেভ, আজকাল কি করচ বলদিকি ? তোমার হ’ল কি ? তুমি বেঁচে আছ না মরেছ ? কোথাও তোমাকে ত আর দেখা যায় না ; তোমাকে লিখলেও ত উত্তর পাওয়া যায় না । দেখ, আমার অভিমান করাই উচিত। তবে কিনা, বন্ধুত্বে আমি মানঅভিমানের বড় একটা ধার ধারিনে, তাই তোমাকে দেখতে এলাম । বল কি হে! এক কালেজের সহপাঠী তুমি, তোমাকে কিনা এই অন্ধকার ঘরে বিষণ্ণ হয়ে মরতে দেব ! তুমি পীড়িত—তোমার কিছুই ভাল লাগে না—এ সমস্তই তোমার ভাই কল্পনা । তোমার মন ভাল করবার জন্ত, তোমাকে একটু আমোদ দেবার জন্ত, তোমাকে জোর করে একটা ভোজের নেমস্তরে নিয়ে যাব। সেখানে আজ খুব আমোদ-প্রমোদ হবে - আমাদের বন্ধু “রাম্বো"ও আসবে।” অৰ্দ্ধ দুঃখ প্রকাশ ও অদ্ধ পরিহাসের স্বরে অক্টেভের বন্ধু অক্টেভ-দেহ