পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“নায়, কিছু নয়। আর মনে-মনে হেসে বললে, “এইবার ঠিক হবে। উনি তো জানেন না যে স্বপনপাখির গান শুনতে শুনতে রাত কখন যে ভোর হয়ে যায়, কেউ বুঝতে পারে না। কুঁকড়ে গাছের উপর থেকে নেমে এসে সোনালিকে বললেন, *কী বলছিলে ? কিছু না ’ বলে সোনালি মুখ ফিরিয়ে দাড়াল। b" ঘাসের মধ্যে থেকে ব্যাঙ আওয়াজ দিলে, “কর্তা, ঘরে আছেন ? কর্তা ’ সোনালি ও মাগো ব্যাঙ ’ ব’লে একলাফে একটা গাছের কোটরে গিয়ে লুকোল। ছ’-ছটা কোলব্যাঙ এসে উপস্থিত। তার মধ্যে সব চেয়ে বড়ো ব্যাঙ এসে হাত নেড়ে কুঁকড়োকে বললে, ‘বনে চিন্তাশীল র্যারা, তাদের হয়ে আমরা এসেছি ধন্যবাদ জানাতে গানের ওস্তাদ আপনাকে । ওর নাম কী, অনেক গানের আবিষ্কর্তাকে’, আর একজন থপ করে বললে, জলের মতো সহজ গানের', আমনি তৃতীয় ব্যাঙ থপথপ করে বললে, “যত-সব ছোটে গানের', অমনি অন্তে বললে, ‘মজার গানের। পঞ্চম, ষষ্ঠ, তারাও থপথপ ছপ ছপ করে এগিয়ে এসে বললে, সব বড়ো বড়ো গানের সব পবিত্র গানের ' ব্যাঙেদের কুঁকড়োর মোটেই ভালো লাগছিল না, কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে তিনি তাদের বসতে বললেন । একটা মস্ত ব্যাঙের ছাত৷ টেবিলের মতো পাতা রয়েছে, তারি চারি দিকে সবাই বসলেন। সদালাপ চলল। ব্যাঙ বিনয় করে বললেন, তারা কিছুই নয়, অতি হীন। কুঁকড়ে বললেন, কিন্তু বড়ো বড়ো চোখ দেখলেই বোঝা যায় তারা খুবই বুদ্ধিজিভি ( কোলাব্যাঙ দাড়িয়ে উঠে বললেন, ‘আমরা বনের মধ্যে. একছত্রী সবাই, মোরগদের মধ্যে একমাত্র কুঁকড়োকে একদিন ভোজ দিতে মনস্থ করেছি। আপনার গান ॐ९