পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করতে পারলে না, উলটে বরং বেচারাদের দম,ফাটিয়ে দেবারই জোগাড় করেছে। শোনো-না স্বপনপাখি ওদের কী গানই শুনিয়েছে। কুঁকড়ো ব্যাঙেদের ইশারা করলেন, আর অমনি তারা সোনালিকে স্বপনপাখির গানের নকল দেখিয়ে দিলে, "দম ফাটু, দম ফাটু, দুয়ো দুয়ো দুয়ো । দম ফার্টু ফাটু দম, দুয়ো দুয়ো । ‘শুনলে তো ? কুঁকড়ে সোনালিকে বললেন। ঠিক সেই সময় বনের শিয়রে নিশুত রাতের আঁধার কঁাপিয়ে একটি সুর এসে পৌছল, পিয়ে ? কুঁকড়ে সেই মিষ্টি স্বর শুনে চমকে বললেন, ‘ওকে ডাকে ? কোলাব্যাঙ তাড়াতাড়ি বলে উঠল, ‘কেউ নয়, ওই সেই পাখিটা ’ এবার আবার সেই স্বপনপাখির মিষ্টি সুর কুঁকড়োর কানে এল, যেন একটি-একটি আলোর ফোটা পিয়ে, পিয়ে । পিয়ো। কুঁকড়ে শুনতে লাগলেন। একি পাখির ডাক। না এ স্বপ্নের বীণায় ঘা পড়ছে! সোনাব্যাঙ কী বলতে আসছিল, কুঁকড়ে তাদের এক ধমক দিয়ে সরিয়ে দিলেন । এইবার স্বপনপাখি গান ধরলে, পিয়া । আঁধার রাতের পিয়া, একলা রাতের পিয়া । পিয়ো, ওগো পিয়ে । দিয়ে, দেখা দিয়ে । আমায় দেখা দিয়ে, একলা দেখা দিয়ে। র্তাধার-করা ঘরে, জাগছি তোমার তরে, অন্ধকারে পিয়ো, দিয়ে দেখা দিয়ো । দেখতে দেখতে চাদের আলো জলে স্থলে এসে পড়ল। নীল আলোর সাজে সেজে অন্ধকারের পিয়া যেন বনের আঁধার-করা বাসরঘরে এসে দাড়ালেন । স্বপনপাখি-আনন্দে গেয়ে উঠল পিয়ো, সুধা পিয়ে সুধা পিয়ে পিয়ো পিয়ে ।” কুঁকড়ে বলে উঠলেন, ‘ছি ছি, ব্যাঙগুলোকে বিশ্বাস করে কী ভুলই করেছি। হায় এলজা রাখব কোথায়, ওগো স্বপনপাখি। মধুর মুরে স্বপনপাখির উত্তর এল, ‘দিনের পাখি তুমি নির্ভীক, সতেজ ডাক দাও, রাতের পাখি আমি আঁধারে ডাকি, ভয়ে ভয়ে মিনতি ক’রে। వె(t