পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভালোবাসার জলে সেখানে – কুঁকড়ে তাড়াতাড়ি স্থা বলে,সোনালির কাছ থেকে সরে দাড়িয়ে সপ্তম-স্বরে চড়িয়ে ডাক দিলেন, ‘আলোর ফুল।’ সোনালি অবাক হয়ে বললে, ‘গাইলে যে ’ কুঁকড়ে বললেন, ‘এবার আমি নিজেকে নিজে ধমকে নিলেম । বারবার তিনবার আমি যা ভালোবাসি, তা করতে ভুলেছি।” সোনালি শুধলে, কী ভালোবাস শুনি । কুঁকড়ে গম্ভীর হয়ে বললেন, কাজ, আমার যা কাজ তাই।” বলে কুঁকড়ে জিন্মাকে বললেন, ‘চলে, এগোও। গিয়ে করবে কী।’ সোনালি শুধলে । আমার কাজ সোনালি ? কিন্তু রাত্রি তো আর নেই।’ কুঁকড়ে বললেন, ‘আছে, সব ঘুমন্ত চোখের পাতায়। সোনালি হেসে বললে, “আজ থেকে ঘুম ভাঙানোই বুঝি ব্রত হল তোমার । কিন্তু যাই বল, সকাল তো হল তোমাকে ছেড়ে, তেমনি ঘুমও ভাঙবে তুমি না গেলেও ’ কুঁকড়ে বললেন, "দিনের চেয়েও বড়ো আলোর হুকুমে আমায় চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সোনালি...।” সোনালি গাছের তলায় মরা স্বপনপাখিটি দেখিয়ে বললে, “এও যেমন আর গাইবে না, তেমনি তোমার মনের সুরটি কোনোদিন আর ফিরে আসবে না। ঠিক এই সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে বনের শিয়রে স্বপনপাখি ডাক দিলে, “পিয়ে পিয়ো।’ ঠিক সেই গাছটির উপর থেকে যার তলায় রাতের স্বপন এখনো পড়ে আছে ধুলোয়। কুঁকড়ে উপর দিকে চেয়ে শুনলেন যেন আকাশবাণী হল, ‘শেষ নেই, শেষ নেই, বনের স্বপন অফুর ' কুঁকড়ে আনন্দে বলে উঠলেন, “অযুর স্বর, অশেষ স্বপন ।” সোনালি বললে, “তোমার বিশ্বাস কি এখনো অটল থাকবে। দেখছ ন সূর্য উঠছেন। কুঁকড়ে বললেন, ‘কাল যে গান গেয়েছি, তারি রেশ আকাশে এভক্ষণ বাজছিল সোনালি |’ এমন সময় পেঁচাগুলো চেচিয়ে গেল, আজ কুঁকড়ে গায় নি, ه هٔ ز