পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কী মজা ’ ওই শোনো, সোনালি, পেচার স্পষ্টই জানিয়ে গেল যে, আলে। আজ দেওয়া হয় নি। তাই আনন্দ করছে তারা ।” বলে কুঁকড়ো সোনালির কাছে গিয়ে বললেন, সকাল আমিই আনি। শুধু তাই নয়, বাদলে যখন পাহাড়তলিতে দিনরাত ঘন কুয়াশা চেপে এসেছে, দিন এল কি না বোঝা যাচ্ছে না, সেইসব দিন আমার সাড়া সূর্যের জায়গাটি নিয়ে সবাইকে জানায়, ‘দিন এল, দিন এল রে, দিন এল’ ? সোনালি কী বলতে যাচ্ছিল, কুঁকড়ে তাকে বললেন, ‘শোনো ? সোনালি দেখলে, কুঁকড়ো যেন কতদূরে চেয়ে রয়েছেন, চোখে তার এক আশ্চর্য আলো খেলছে। কুঁকড়ে আস্তে আস্তে বললেন, যেন মনে-মনে, দূর সূর্যলোকের পাখি আমি। তাই না আমি ডাক দিলে নীল আকাশ ছেয়ে জ্বলে ওঠে সন্ধ্যার অন্ধকারে রাত্রির গভীরে আলোর ফুলকি। আমার দেওয়া আলো কোনোদিন কি নিভতে পারে। না আমার গান বন্ধ হতে পারে ? কতদিন গাচ্ছি, কতদিন যে গাইব তার কি ঠিকান আছে। যুগ যুগ ধরে এমনই চলবে... । আমার পর সে, তার পর সে গেয়ে চলবে —আমারি মতে অটল বিশ্বাসে । শেষে একদিন দেখা যাবে আকাশের নীল, তারায় তারায় এমনি ভরে উঠছে যে রাত আর কোথাও নেই, সব দিন হয়ে গেছে –আলোয় আলোময় ? সোনালি অমনি শুধলে, ‘কবে সেটা হবে শুনি। কোনো এক শুভদিনে ’ বলে কুঁকড়ে চুপ করলেন। 蠟 সোনালি বললে, “আমাদের এই বনটিকে ভুলো না যেন সেদিন।' কুঁকড়ে বললেন, ‘কোনোদিন ভুলব না। এইখানেই জানলেম যে, এক স্বপন ভেঙে যায়, আর-এক স্বপন এসে দেখা দেয়, স্বপনের সঙ্গে নিজেও ভেঙে পড়া নয় কিন্তু জেগে ওঠা, নতুন আলোয় নতুন আশা নিয়ে। সোনালি বুঝলে কুঁকড়ো আর থাকেন না, সে হতাশ হয়ে অভিমানে বলে উঠল, যাও যাও, সেই খোপের মধ্যে রোজ সন্ধেবেলা ঘুম দিয়ে, নিজের অন্দরমহলে মই বেয়ে উঠে।” So Y