পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে বিধাতার হাতে দোয়াত কলম ছেড়ে দিলে একটুও কালি খরচ হবার ভয় নেই। খাতাঞ্চি সোনাতোনকে বললেন, “আমার এই দোয়াত কলমটা নিয়ে যাও, নতুন দোয়াত কলম কিনে আর কাজ নেই।’ কিন্তু সোনাতোন তখনও নড়ে না দেখৈ খাতাঞ্চি বললেন, ‘আরো কী চাই ? সোনাতোন বললে, ‘এক পয়সার তেল, বিধাতা কি অন্ধকারে লিখবেন ? খাতাঞ্চি পাচই তারিখে খাতায় এক পয়সার তেলের খরচ সোনাতোনকে দেখিয়ে বললেন, ‘এক পয়সার তৈল, কিসে খরচ হৈল ? সোনাতোন হিসেব দিয়ে-দিয়ে পাকা হয়ে গিয়েছিল, সে আমনি চট করে বললে, ‘এক পয়সার তৈল খরচ আর কিসে হৈল, খরচ হৈল কর্তার দাড়িতে, গিল্পীর পায় আর দিয়েছি মেয়ের গায়।’ খাতাঞ্চিমশায়ের হিসেবে বাচা উচিত ছিল ঐ এক পয়সার তেল থেকে এতটা যে, তাতে ছেলে-মেয়ের বিয়ের আনন্দ নাডু ভাজা এবং সাত রাত যে নাচ গান হবে তার মশাল জ্বালা চলবে । কিন্তু এর একটাও হল না দেখে তিনি বিষম চটে একটা পয়সা সোনাতোনের দিকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেী হয়ে বললেন, “বেটা হতভাগা ঘরে এল, বাকি তেলট ঢেলে নিল |’ এমনি ধুমধামে ছদিনের দিন সোনার সেটের পুজোটি কোনো গতিকে সেরে নিয়ে একটু গুছিয়ে বসতে না বসতে আটকৌড়ে এসে পড়ল। সোনাতোনকে সেদিন দপ্তরখানার উঠোন দিয়ে দু-চারবার রান্নাবাড়িতে ঢুকতে দেখেই খাতাঞ্চিমশায় বুঝলেন এবার শুধু আটপণ কড়ির উপর দিয়েই যাবে না। তিনি চুপি-চুপি সোনাতোনকে ডেকে শুধোলেন, ব্যাপার কী ? সোনাতোন অমনি হিসেব দিলে দাজার সামনে উবু হয়ে বসে, ‘এক সের ধানের খই ভেজে বসিয়েছি এক ডোল —রায়মশায়, এবার লোকের বড় গোল। রায়মশায় বললেন, লোকের আর গোল কী, ఈ$