পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোল বাধবে এবার হিসেবের সময় । টেকিতে অত পাড় দিচ্ছিলে কেন, সোনাতোন ? - সোনাতোন আমনি বললে, ‘তিনসের ধানের চিড়ে কুটলেম মেয়ের কাজেতে I' সর্বনাশ, এত চিড়ে খাবে কে ? খাতাঞ্চি শুধোলেন। সোনাতোন তখনি জবাব করলে, “সব খাবে বাজে লোকেতে ? সোনাতোন যা-যা বলে গেল ঠিক ঠিক মিলল। সন্ধ্যার পর রাজ্যের কচি ছেলে এসে কুলো পিটিয়ে খই কড়ি ছড়াছড়ি করে খাতাঞ্চি-খানার উঠোন শাদ করে দিয়ে ছড়া কাটতে-কাটতে গেল, ‘আটকড়া বাটকড়া আট-দুগুণে ষোলো, খাতাঞ্চির দাড়ি ধরে ঝোলো " খাতাঞ্চি ঘরের ঘুলঘুলি থেকে মুখ বাড়িয়ে বললেন, বাছার আমন আশীৰ্বাদ কর না, হুগুণে আর কাজ নেই এক গুণেই থামা ভালো । তারপর, বাজে লোক সব চি ড়ে বাতাসায় আঁচল ভরিয়ে দলে-দলে যখন বলতে লাগল, ‘রায়মশায়, মেয়ের বিয়েতে আমাদের খাওয়াবেন তো ? তখন রায়মশায় খুব গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘বল কী, এমন খাওয়া খাওয়াব যে টের পাবে, এখন থেকে আমি তার আয়োজন করছি : মধুখালি লোক পাঠিয়েছি ময়দার কারণ কিছু লুচির আয়োজন – তেল দিয়ে ভাজব লুচি মিশাল দেব ঘি তোমরা খাবে নাতো কি ? এবার একটা আচ্ছা ফলার দেব মনের মতো খেও পেটে ধরে যত । একমাস পরে ষষ্ঠ পুজো, ঘটে একটু সিছর ডাব আর আম পাতা দিয়ে খাতাঞ্চিমশায় সেরে দিলেন। তখন সোনার মা বললেন, “সোনার কর্ণবেধে যদি ধুম না করি তো কী বলেছি ? সাত বছরের আগে সোনার কান ফোঁড়বার দরকার নেই, ፩bዋ