পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাচখেলার নেীকে ; কয়লাঘাটে সদাগরদের কয়লার জাহাজ, পালের জাহাজ, ওলন্দাজ দিনেমারি বোম্বেটের জাহাজ ; জগন্নাথের ঘাটে মহাজনদের গাধাবোট, বড় ডিঙি আর নাখোদার জাহাজ। দক্ষিণে রয়েছে আদিগঙ্গা, সেখানে কালিঘাটে খালি কিস্তি মার হল। পুবে থেকে টালার নালা উত্তরে গিয়ে পড়েছে, সেখানে বর্গি ধরার জন্যে সারি-সারি সব ছিপ রয়েছে। তারপর বাগবাজারের খাল, সেখানে খালি ধোয়, এত যে কিছু দেখবার জো নেই । এই ম্যাপখানায় হাবড়ার পুলের নামগন্ধ নেই, রয়েছে কেবল কতকালের বাধা জোড়ার্সাকে । এই দুই পুল হচ্ছে একটি রাজার, একটি রায়দের । এই জোড়ার্সাকো পেরিয়ে রাস্তা চৌমাথায় গিয়ে মিলেছে। চৌমাথা থেকে দক্ষিণমুখে গেলেই চৌরঙ্গী হয়ে রাজাবাগান পাবে, আর উত্তরমুখো গেলে পাবে রায়বাগান। এই দুই বড় বাগানের ঠিক মাঝে ছুটে সমুদ্রের মতো প্রকাও দিঘি। রাজবাগানে চৌকোনো লালদিঘি, তার মাঝে শ্বেতদ্বীপ, আর রায়বাগানে হল গোলদিঘি তার মাঝে জম্বুদ্বীপ। জম্বুদ্বীপে থাকেন ভুমুণ্ডিকাগ, কাগের ছা বগের ছা পাখিরা আর শ্বেতদ্বীপে থাকে সব ডানাকাটা পরী আর পর। লালদিঘির পারেই রাজার গড় আর গোলদিঘির ধারেই দেখ বাবুদের বৈঠকখান, গড়ের মধ্যে কামান লেখা রয়েছে আর বৈঠকখানায় হকে অঁাকা রয়েছে দেখ । এইবার প্রথমে রায়বাগানটা ঘুরে দেখ কী রকম। পায়ে হেঁটে ঘুরতে হলে আমার মতো পঞ্চাশ বছরেও বাগান ছুখান দেখে শেষ করতে পারতে না, ম্যাপে বলে চটপট হচ্ছে । তারপর এই রায়বাগানের মধ্যে দেখ পাথর আর মুড়ি দিয়ে ঘাট-বাধানো জোড়া বাগান, একটায় কেবল কলাগাছ আর একটায় কেবল কলমের চারা, কচু গাছ। একটাতে লাফাচ্ছে হনুমান আর একটাতে বসে জাম্বুবান। আর একটু এগিয়ে, জোড়ার্সাকোর বড়ো রাস্তার ধারে রয়েছে দেখ সিংহীর বাগান। পাছে সিংহী বেরিয়ে পড়ে সে জন্তে তার " চারদিকে শিক দেওয়া রয়েছে দেখ সিকদার বাগান। সেখানে ছেলে రిరి