পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি পয়সা দাও অমনি টুপ করে সেটি কুড়িয়ে নৈবে। মাহুতকে বকশিশ দিলে এই হাতির পিঠে চড়িয়ে চিড়িয়াখানা দেখিয়ে আনবে। চিড়িয়াখানার দরজায় একটা হাসকল পাতা আছে, একজনের বেশি ছজন মানুষ গেলেই ধরা পড়ে যায়। এই বাগানের পিছনে পাতিপুকুর, ডিমের বদলে, চিনে পাতি কলম্ব । নেবু, যারা নিরামিষ খায় তাদের জন্তে হাসেরা পাড়ছে। এক-একটা বাগানকে-বাগান জাল দিয়ে ঘেরা, তার মধ্যে পাখিরা মনের মুখে উড়ে বেড়াচ্ছে, বাসা বাধছে, ডিম পাড়ছে, আবার কত কী পড়ছে। এত বড়ে এই চিড়িয়াখান যে দিনের পর দিন দেখে গেলেও শেষ হবে না। তারপরেই ঘোড়দৌড়ের মাঠ আর গড়ের মাঠ। এই মাঠের ধারেই যাদুঘর, সেখানে সব মরা মানুষ জন্তু জানোয়ার । সেখানে দরজায় পাহারা নেই, ওমনি যেতে পাব আসতে পার, কেবল ছাত লাঠি যাবার হুকুম নেই। এরই কাছেই জানবাজার আর মুর্গিহাট। কোম্পানির বাগান হচ্ছে ঠিক বাবুঘাটের উপরেই, সেখানে গড়ের বাদ্যি বাজে। এই বাগানে টিকিট না থাকলে যে সে ঢুকতে পারে না, দরজায় কনস্টেবল রয়েছে, খালি গা খালি পা দেখলেই রুল ওঠাবে। রুল ওঠালে লাটসাহেবের গাড়ি পর্যন্ত থেমে যায়– তুমি নে তুমি । এই বাগানের ফটকের ধারেই একটা ছেলে বেলুন ধরে পচিলে চেপে বসে আছে, ফটকের থাম জড়িয়ে পাছে থাম ছেড়ে দিলে বেলুন তাকে যুদ্ধ উড়িয়ে নিয়ে যায়। আগে এখানে দেখেছি একটা বুড়ি থাকত, একদিন ভুলে যেমন সে থাম ছেড়েছে অমনি বেলুন তাকে উড়িয়ে নিয়েছে। সে সময় থাকলে মজা দেখা যেত। এই বাগানের এদিকে কাছারি, সেদিকে কেরানীরা দিন-রাত খেটে মরছে ; আবার ওদিকের কোণেই নবাবি আমলের অন্ধকূপের একটা থাম । চৌমাথার কাছে রাজার বাড়ির সিংদরজা, সেখানে সাস্ত্রী পাহারা, ঢোকবার জে নেই। ফটকের উপর যে সিংহী বসে আছে কামানের গোলা হাতে, দেখেছ তো? উত্তরে গোয়াবাগান, ১৩৩