পাতা:অবনীন্দ্র রচনাবলী তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাগল। বুলবুলি একবার বললে, ‘গোলদিঘিতে ভাসাতে তে৷ বাসা বাধা হয় না। কিন্তু বাবুইরা ও দিয়ে বুলবুলিকে সভা থেকে তাড়িয়ে দিল । এরপর সবাই ঠাণ্ডা হয়ে বসল তখন কাক বাবুইদের বললেন, তোমরা জানো এই জন্থদ্বীপে ‘পুতু আমাদের অতিথি, ইনি যাতে খুশি হন তা তামাদের করা উচিত। ইনি গোলদিঘির ওপার , দেখতে ব্যস্ত হয়েছেন, তাই আমি এর জন্যে একখানি নেীকে তৈরি করিয়ে দিতে চাই । তোমাদের মতে কারিগর এই জম্বুদ্বীপে পাওয়া কঠিন । বাবুইপাখির কথাট। শুনে মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে দেখে আমার ভয় হল, বুঝিবা তারা না করে । কাগ। তাড়াতাড়ি বললেন, মানুষদের মতো একটা বিদঘুটে বড় জাহাজ আমরা চাইনে, এই পুতুকে ধরে এত বড়ে একটা বাবুইবাসা হলেই কাজ চলবে । সেটায় জল মা ঢুকলেই হল । কিন্তু বাবুষ্টপাখিরা বললে, “আমাদের অনেক কাজ, এত বড়ো বাস করতে সময় অনেক যাবে ? কাক বললেন, “ঠিক কথা, তোমাদের কাজ ক্ষেতি করে এ কাজ করতে হবে না, কিন্তু পুতু তোমাদের যে অমনি খাটিয়ে নেবেন ত নয়, তোমরা জনপিছু রোজ দেড় পাই হিসেবে মজুরি পাবে।’ মজুরির নামে বাবুইদের আনন্দ দেখে কে ! তীর তক্ষুনি কাজে লেগে গেল । তখন বাবুইপাখির ডিম পাড়বার সময় । কিন্তু সে বছর তার আমার জন্যে বাস বধিতেই ব্যস্ত, তাদের নিজেদের বাসা খালি রইল । ওদিকে ওপাব থেকে কেবল চিঠি আসতে লাগল, ‘বাবুইছানা পাঠাও। বাবুইছানাগুলো দেখতে গোল-গাল মোটা-সোটা, তাই বড়ো ঘরের মেয়েরা সেই গুলোই মানুষ করতে চায়। কাকমশায় মুশকিলে পড়লেন। বাবুইবাস। সব খালি, এদিকে বড়ে বড়ে খন্দেরের মনও রাখ। চাই। তিনি সব চড়াইপাখিকে বাবুইদের পুরোনো বাসায় ডিম পাড়তে হুকুম দিলেন, আর সেই ছানা ক্রমাগত S8 a